মজুরি বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে সারাদেশে শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাত ১২টা থেকে নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে লোড-আনলোডও। নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় (ঢাকা) সভাপতি মো. শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মজুরি বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবি করে আসছেন শ্রমিকরা। শুক্রবার ঢাকায় মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্তত মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণার দাবি জানানো হলেও মালিকপক্ষ সেটি মানেনি। তারা এক মাসের সময় চেয়েছেন। কিন্তু এক মাসের সময় দেওয়ার বিষয়ে শ্রমিকরা একমত হননি। ফলে শনিবার রাত ১২টা থেকে সারাদেশে কর্মবিরতি পালন শুরু করবেন শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের মোংলা শাখার সহসভাপতি মো. মাইনুল হোসেন মিন্টু গণমাধ্যমকে বলেন, ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে গত ১৯ নভেম্বর মোংলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে সরকার এবং মালিকপক্ষকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। দাবি বাস্তবায়ন না করায় আমরা শনিবার দিবাগত রাত থেকে মোংলা বন্দরসহ সারা দেশে লাগাতার কর্মবিরতি পালন শুরু করব।
শ্রমিকদের ১০ দফা দাবি হলো- নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদানসহ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা, দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা, চট্টগ্রাম থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা, বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাত্রিকালীন চলাচলের উপরে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ভারতগামী শ্রমিকদের লান্ডিং পাস প্রদানসহ ভারতীয় সীমানায় সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করা, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করে সকল লাইটারিং জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করা, চরপাড়া ঘাটে ইজারা বাতিল ও নৌ-পরিবহন অধিদফতরের সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা।
তথ্যসূত্র: পূর্বকোণ