বিশেষ প্রতিনিধি:
চন্দনাইশ উপজেলায় ফসলি জমির টপসয়েল কেটে সাবার করছে মাটি দস্যুরা। উপজেলার জোয়ারা ইউনিয়ন ও চন্দনাইশ পৌরসভা এলাকার মনছফ হাটের উত্তর পাশে খাজা প্রজেক্ট সংলগ্ন এলাকায় কৃষি জমির টপসয়েল কেটে বিলীন করে ফেলছে প্রভাবশালী মহল।
তাঁরা আইনের তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন ফসলি জমির মাটির উপরি অংশ তথা টপসয়েল কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটা ও বাড়ি ভিটা ভরাট করতে। একইভাবে সাতবাড়িয়া, হাশিমপুর, কাঞ্চনাবাদ, দোহাজারী, বৈলতলী, বরকল, বরমা এলাকা থেকে রাতের আঁধারে মাটি দস্যুরা ধানি জমির টপসয়েল কেটে নিলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দফায় দফায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত থাকলেও কোনোভাবে থামছে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা। রাতের আঁধারে মাটি দস্যুরা ডাম্পারে করে রাতব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ফসলি জমির টপসয়েল কেটে পুকুরে পরিণত করছে জমিকে। ফলে চন্দনাইশে দিন দিন ফসলি জমি হ্রাস পেতে শুরু করেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) দু’জনই মহিলা হওয়ায় সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাতের আঁধারে মাটি কাটছে মাটি দস্যুরা। এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা বেগম বলেছেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত মঙ্গলবার হাশিমপুরের খাঁন বটতল এলাকার মেসার্স খাজা ব্রিকসকে ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্ধারিত শর্ত লঙ্ঘন করে ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ইট প্রস্তুত করার অপরাধে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।