মো. শোয়াইব, হাটহাজারী প্রতিনিধি: হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মাদার্শা মাছুয়াঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিলম্বে বিদ্যালয়ে আসার অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সময়মতো আসলেও শিক্ষকেরা আসেন দেরিতে।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীলিমা সেনসহ সহকারী শিক্ষিকাদ্বয় আনোয়ারা বেগম ও সৈয়দা ইয়াছমিন বিদ্যালয়ে ১০টা ২৪ মিনিটে প্রবেশ করেন। পরে সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। যদিও সরকারি নিয়মানুযায়ী বিদ্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে পাঠদান শুরু হওয়ার কথা।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় নানা ধরনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এলাকবাসী ও অভিবাবকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে দেরিতে আসেন। যার ফলে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রতিনিয়ত কমছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৫ জন। শিক্ষার্থী কমে যাওয়ায় বিদ্যালয়টি থেকে বিমুখ হয়ে পড়ছেন স্থানীয়রা। অসন্তোষ প্রকাশ করে কতৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। তারপরও বিভিন্ন অজুহাতে এ বিদ্যালয়ে শিক্ষকেরা বিলম্বে উপস্থিত হচ্ছেন। তাছাড়া কোনো অভিভাবক বিদ্যালয় কতৃপক্ষকে এই বিষয়ে অভিযোগ করতে গেলে সঠিক জবাব দেন না প্রধান শিক্ষিক। ইতোমধ্যে অভিভাবকরা কমিটি প্রধানকে বিষয়টি জানিয়েছে, তবে কোনো সুরাহা হয়নি। আরেকটি বিষয়ে অভিবাবকরা অভিযোগ করেছেন, সেটি হলো-সরকার কর্তৃক সরবরাহকৃত ল্যাপটপটি প্রধান শিক্ষক নিজের বাড়িতে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো.ইমরান চাটগাঁর সংবাদকে বলেন, ‘শিক্ষকদের একাধিকবার বলা হলেও শিক্ষকরা সড়ক যাতায়াতের ব্যবস্থা নাজুক হওয়ার কারন দেখিয়ে দেরি করে আসছেন। শিক্ষা অফিসারকেও অবহিত করা হলে তিনি দেখবেন বলে জানান। তবে কেউ আমার কথা গুরুত্ব দিচ্ছে না।’
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক নীলিমা সেন বলেন, ‘যানবাহনের কারণে মাঝে মধ্যে আমাদের আসতে দেরি হয়। তবে নিয়মিত দেরি হয় বিষয়টি সঠিক নয়। ল্যাপটপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ল্যাপটপটি বেশ কিছু দিন আগে নষ্ট হয়ে যায়। আমি ঠিক করার জন্য বাসায় নিয়ে যায়। তারা নিজেরা এসব কথা বানিয়ে বলছে।’
হাটহাজারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইদা আলম মুঠোফোনে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ‘বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকদের মৌখিক ভাবে সতর্ক করা হয়েছে।’