চট্টগ্রামের জামালখানের নর্দমা থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু মারজানা হক বর্ষাকে (৭) ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছিলো। এরপর তার মরদেহ মুদি দোকানের বস্তায় ভরে নালায় ফেলে দেয় ধর্ষক। সেই বস্তার সূত্র ধরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দোকান কর্মচারী লক্ষ্মণ দাশকে (৩০)।
আজ শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় কোতোয়ালী থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার লক্ষ্মণ লোহাগাড়ার উত্তর পদুয়া এলাকার ফেলোরাম দাশের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ২৪ অক্টোবর বিকালে জামালখানের সিকদার হোটেলের পাশের গলির বাসা থেকে চিপস কিনতে যায় বর্ষা। আধাঘণ্টা পার হলেও সে না ফেরায় তার খোঁজ শুরু করে পরিবার। কোথাও খোঁজ না পাওয়ায় পরদিন তার সন্ধানে কোতোয়ালী থানায় জিডি করেন তারা। এরপর বৃহস্পতিবার সিকদার হোটেলের পাশের নালায় বস্তাবন্দী একটি লাশ দেখতে পেয়ে এক স্থানীয় ব্যক্তি পুলিশকে জানায়। সেখান থেকে বর্ষার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, বর্ষাকে যে বস্তায় ঢুকিয়ে ফেলে দেওয়া হয়, তার গায়ে টিসিবির সিল ছিল। পরে আশপাশের দোকানে টিসিবির সিলযুক্ত বস্তা খোঁজার একপর্যায়ে একই রকম বস্তা ওই এলাকার শ্যামল স্টোরের গোডাউনে পাওয়া যায়। এরপর দোকান-কর্মচারী লক্ষ্মণ দাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে লক্ষ্মণ।
লক্ষ্মণের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বিভিন্ন সময় বর্ষাকে চকলেট ও চিপস দিত ওই কর্মচারী। ঘটনার দিন লক্ষ্মণ ১০০ টাকা দেওয়ার কথা বলে তাকে দোকানের গোডাউনে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণের একপর্যায়ে রক্ত দেখে ভয় পেয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে বস্তায় ভরে তার মরদেহ পার্শ্ববর্তী নালায় ফেলে দেয়। বৃহস্পতিবার বিকালে নিহত বর্ষার মরদেহ উদ্ধারের পর তার মা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
তথ্যসূত্র: পূর্বকোণ