আজ ১লা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবি: লোহাগাড়ায় ফুটপাতে অবৈধ দখল

লোহাগাড়ায় ফুটপাত আবারো অবৈধ দখলে


মাহমুদুল হক চৌধুরীঃ উপজেলার মহাসড়কসহ মফস্বল শহরের ব্যস্ত সড়কের  ফুটপাতে অবৈধ দখলদারদের দৌরাত্ম বাড়ছে, এ কারণে ঝুঁকিও বাড়ছে পথচারীদের। বিষয়টি নজরে আসার পর নীতি নির্ধারণী সংস্থাগুলো যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিলেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছে না।

সরজমিনে দেখা গেছে, লোহাগাড়ার বটতলী এলাকায় রাস্তার দুই পার্শ্বে যত্রতত্র গাড়ি, ভ্যান, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা ও মোটরসাইকেল পার্ক করা থাকে। এজন্য প্রতিনিয়ত  যানজট বাড়ার পাশাপাশি পথচারীদের চলাফেরায় অসুবিধা হয়।

লোহাগাড়াবাসীরা বলছেন, সরকারী জায়গা উদ্ধারের জন্য একাধিকবার অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা মাথাখিলা হিসাবে টাকা নিয়ে ফুটপাত আবারো দখল হতে সহায়তা করে। ফুটপাত অবৈধ দখলের মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ীরা হকারদের কাছ থেকে, দৈনিক কিংবা মাসোহারায় ভাড়া আদায় করে থাকেন। এক্ষেত্রে শহর পরিচালনা কমিটিও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য টাকা নেয়। এসব অবৈধ দখলদারদের ভাসমান হকার বলা যাবে না, কারণ দিন শেষে তারা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যায়, ভাসমান ভ্যানের ওপর পণ্য নিয়ে তারা বিক্রি করে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মে মাস থেকে এ উপজেলায় রাস্তার দুই পাশে সরকারি জায়গা উদ্ধারের যে অভিযান চলছে, বেশ কয়েকটি কারণে তা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছে না।

আরও পড়ুন লোহাগাড়ার সরকারি দপ্তরগুলোতে ইউএনওর আকস্মিক পরিদর্শন

এ প্রসঙ্গে আলাপকালে লোহাগাড়া বটতলী শহর পরিচালনা আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন হিরু চাটগাঁর সংবাদকে বলেন, ‘এ বিষয়ে মাসখানেক আগে থেকে দফা দফায় অভিযান চালানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত কয়েকবার অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হলেও তাতে সুফল মিলছে না। হকাররা আবারো সেসব স্থানে তাদের ভাসমান দোকান সাজিয়ে বসে যায়। বর্তমানে যে স্থানগুলো দখল হচ্ছে সেগুলো রাস্তার দুপাশের স্ল্যাব। রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে সেখানটায় কার্পেটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কার্পেটিং হয়ে গেলে সড়কের প্রশস্ততা বাড়বে। এতে পথচারীদের এবং যানজটের দুর্ভোগ অনেকটা কমবে।’

স্থানীয়দের মতে, যেহেতু লোহাগাড়া এখনও পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়নি তাই প্রশাসন এবং শহর পরিচালনা কমিটি চাইলে সরকারি জায়গাগুলো উদ্ধার করে সংস্কার করতে পারে। এখানে নির্দিষ্ট বাস স্টেশন, গাড়ি পার্কিং জোন থাকাটাও অত্যন্ত জরুরি।

জানতে চাইলে সালাউদ্দিন হিরু আরো বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর আগে থেকে বাস স্টেশন স্থাপনের কাজটি ঝুলে আছে। এজন্য একটি প্রস্তাবিত জায়গাও রয়েছে।’


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর