অনলাইনে ডেস্কঃ সুস্থ্য স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য যে কোনো মানুষের প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করা অত্যধিক জরুরি। এক্ষেত্রে ওজনের তারতম্যে পানি পানের আবশ্যকতা কিছুটা কমবেশি হতে পারে। পানি প্রয়োজনের কম পান করলেও যেমন ক্ষতি তেমনি অধিক গ্রহণেও ঘটতে পারে বিপত্তি। দীর্ঘদিন পর্যাপ্ত পানি পান না করার ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। কিডনি ও লিভারে দেখা দেয় একাধিক রোগ। তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সবাইকে পর্যাপ্ত পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, একজন পুরুষের কমপক্ষে দৈনিক ১০ থেকে ১২ গ্লাস এবং নারীদের ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি খাওয়া উচিত। পানি কম খাওয়ার ফলে কিডনি, লিভার, মস্তিষ্কসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রোগ ছড়িয়ে পরতে পারে। এতে শরীরের জন্য ক্ষতিকর টক্সিন ছড়ায়। অনেক সময় কিডনিতে পাথর জমে।
আরও পড়ুন ডায়াবেটিস প্রসঙ্গে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা
অনেকে মনে করে থাকেন পানির পরিবর্তে জুস, কোকাকোলা, কফি কিংবা বাজারজাত অন্যকোনো কোমল পানীয় খেলে শরীরে পানির চাহিদা পূরণ হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, পানির বিকল্প কেবল পানি। অন্য যেকোনো কোমল পানীয়তে কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসসহ বিভিন্ন ব্যাধিক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
অপর্যাপ্ত পানি গ্রহণের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায় শীতকালে। এই মৌসুমে শরীরে পানির অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। হঠাৎ করে ত্বক রুক্ষ বোধ করতে শুরু করলে এবং ত্বকে ব্রণ ও চুলকানির সমস্যা দেখা দিলে বুঝতে হবে শরীরে পানির ঘাটতি রয়েছে। পানির অভাবে প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায়, শরীরে পানির ঘাটতির কারণে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় এবং প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বোধ হয়। শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি মুখে দুর্গন্ধও হয়। পানির অভাবে শরীরে অনেক সময় নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। পানির অভাবে রক্ত স্বল্পতাও হতে পারে।
পানি পানের কিছু নিয়ম
ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে ১ থেকে ২ গ্লাস পানি পান করা যেতে পারে। ভারীভোজ কিংবা যে কোনো খাবার গ্রহণের আগে এবং খাবার গ্রহণের আধঘন্টা পর পানি খাওয়া উত্তম।
Leave a Reply