রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টের (আইসিপিসি) ওয়ার্ল্ড ফাইনালসের সকল অংশগ্রহণকারীকে স্বাগত জানিয়েছেন।
আজ রবিবার (৩০ অক্টোবর) এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, এটা জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আইসিটি বিভাগ, এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল যৌথভাবে ঢাকায় প্রথমবারের মতো ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (আইসিপিসি) ওয়ার্ল্ড ফাইনাল আয়োজন করছে। তিনি এই মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য দেশ-বিদেশের সকল অংশগ্রহণকারীকে স্বাগত ও ধন্যবাদ জানান। আইসিপিসি কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য এটি বিশ্বের বৃহত্তম প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা বলেও তিনি উল্লেখ করেন ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বায়ন ও তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রোগ্রামিং একটি অপরিহার্য হাতিয়ার। তিনি বলেন, যেহেতু বিশ্ব অবিশ্বাস্য গতিতে রূপান্তরিত হচ্ছে, তাই কার্যকর ও সময়োাপযোগী উপায়ে সমস্যা সমাধানের জন্য আরও বেশি জ্ঞান, দক্ষতা এবং পারদর্শিতা প্রয়োজন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই আইসিপিসি তরুণ প্রোগ্রামারদের নিজেদের মধ্যে তাদের ধারণা এবং জ্ঞান আদান-প্রদান এবং সমৃদ্ধ করার একটি ক্ষেত্র হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, ‘আমাকে জানানো হয়েছে যে অংশগ্রহণকারীরা বিশ্বজুড়ে শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে এসেছে এবং তারা ইতোমধ্যে অধ্যবসায় এবং দৃঢ়তার মাধ্যমে জটিল সমস্যার সমাধান করার জন্য তাদের গভীর কোডিং জ্ঞান, দক্ষতা এবং পারদর্শিতা প্রমাণ করেছে’। তিনি বিশ্বাস করেন যে বিশ্বের নেতৃত্ব এবং এর বহুমাত্রিক সমস্যা সমাধানে তারা নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে মহান প্রতিভা হয়ে উঠবে ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘৪৫তম ওয়ার্ল্ড ফাইনালের আয়োজক হিসেবে ঢাকাকে নির্বাচিত করার জন্য আমি আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং এই অনুষ্ঠানের ব্যাপক সাফল্য কামনা করছি’। তিনি বলেন, আইসিটি সেক্টর, যা গত কয়েক বছরে অসাধারণ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাতগুলোর মধ্যে একটি। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, এই আইসিপিসি আইসিটি সেক্টর থেকে আমাদের তরুণ প্রতিভাদের অনুপ্রাণিত করতে অনুপ্রেরণামূলক ভূমিকা পালন করবে’।
সূত্র: বাসস
Leave a Reply