নগরের বন্দর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী রিনা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে স্বামী মো.সাখাওয়াত হোসেনকে নেত্রকোনা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
মো.সাখাওয়াত হোসেন (২২) ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর থানাধীন মুচডেঙ্গার মো.মকবুল হোসেনের ছেলে।
তিনি চট্টগ্রামের কলসী দিঘীর পাড়ে স্ত্রীকে নিয়ে একটি ঘরে ভাড়া থাকতেন। র্যাব-৭ এর পতেঙ্গা ক্যাম্প কমান্ডার মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার বন্দর থানাধীন কলসী দীঘির পাড় হাজী মাহমুদ মিয়া কলোনির তৃতীয় তলা ভবনের একটি তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে চাদরে মোড়ানো রিনা আক্তার নামের ২৮ বছর বয়সী নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর পর থেকে স্বামী সাখাওয়াত পলাতক ছিলেন। শুক্রবার নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কালিকাবর গ্রাম থেকে সাখাওয়াতকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো.নুরুল আবছার জানান, রিনা আক্তার নগরের কেইপিজেডে জিএমএস কারখানায় কর্মরত ছিলেন। পরিবারের অজান্তে সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে করেছিলেন। ঘটনার কিছুদিন পূর্বে রিনা আক্তার ও তার স্বামী সাখাওয়াত হোসেন গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ বেড়াতে গিয়েছিলেন। গত ২৪ এপ্রিল রাতে তারা ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রামে আসে। ঈদ উপলক্ষে রিনা আনোয়ারায় বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল। ওইদিন দুপুরে সাখাওয়াত ফোন করে রিনার পরিবারের এক সদস্যকে জানায়, রিনা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
তিনি আরও জানান, পরদিন ২৫ এপ্রিল রিনার পরিবারের লোকজন মোবাইল ফোনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রিনার পরিবারের লোকজন তাদের বাসার মালিকের কাছে ফোন করলে বাসা তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পায়। পরবর্তীতে পুলিশকে খবর দিলে দরজার তালা ভেঙে বিছানার ওপর চাদর দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় রিনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রিনার বাবা বাদী হয়ে সাখাওয়াত হোসেনকে আসামি করে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
Leave a Reply