অনলাইন ডেস্ক
সাতকানিয়া ছদাহা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সর্দার পাড়ার মহিউদ্দিন ড্রাইভারকে ২৯ মে ২০২৪ ইং তারিখে আমিলাইশ এলাকায় ধান পরিবহনের নামে মোবাইলের মাধ্যমে পিকআপ ভাড়া করে মহিউদ্দিনকে বিবাহের ২২ দিনের মাথায় হত্যা করে। হত্যাকারীরা মুমূর্ষ অবস্থায় মহিউদ্দিনকে রাস্তার পাশে রেখে তার পরিবারের কাছে মোবাইল করে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে। পরিবারের সদস্যরা মৃত অবস্থায় দক্ষিণ আমিলাইষ ৬নং ওয়ার্ড শাহ পারাওয়াল পাড়া থেকে তার লাশ নিয়ে আসে। তার পরিবার খবরা খবর নিয়ে ১০ জনের নাম অবহিত করার পরও অজ্ঞাতনামা দিয়ে মামলা করা হয়। তার হত্যারকারীদের গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে ০৭ জুন ২০২৪ ইং তারিখে দস্তিদারহাট বাজারে ছদাহা-কেঁওচিয়া সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করা হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন, নিহত মহিউদ্দিন ড্রাইভারের মা রোকসানা বেগম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, চাটগাঁর সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশাদ হোসেন চৌধুরী, আওয়ীমী লীগ নেতা এড. শাহরিয়ার, অত্র ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মুজিবুর রহমান ও হামিদা বেগম, ছদাহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি লোকমান হাকিম, আবুল হোসেন, সোলতান আহমদ, মেম্বার সাইদুল আলম, ইলিয়াছ সওদাগর, করিমুন্নেছা, মোঃ শাহ আলম, এহসান উল্লাহ রাশেদ ও মোঃ ছৈয়দ আহমদ, শফি মেম্বার, মফিজুর রহমান প্রমুখ। মহিউদ্দিন ড্রাইবারের মা বক্তব্যে বলেন, যে মোবাইল থেকে আমার ছেলেকে ভাড়ার নামে ডেকে নিয়েছে সেই মোবাইল পুলিশ জব্দ করেছে। জব্দকৃত মোবাইলের মালিককে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত আসামী সকলের নাম বেরিয়ে আসবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের কাছে আমি ছেলে হত্যার বিচার চায়।
নুরুল আবছার চৌধুরী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ ভাইয়েরা জনগণের পাশে থেকে দেশকে স্বাধীন করতে শহীদ হয়েছিল এবং ২০১৩-১৪ সালে নাশকতা প্রতিরোধে জনগণকে সাথে নিয়ে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিশোর গ্যাং দমন করার নির্দেশ প্রদান করার পরও মহিউদ্দিন ড্রাইভার নিহত হওয়ার ১০ দিন অতিক্রান্ত হলেও এখনও পর্যন্ত হত্যার সাথে জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের কাউকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাম উল্লেখ করে মামলা নিয়ে আসামীদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হলে জনগণকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে বাধ্য করা হবে। বক্তারা আরও বলেন, মহিউদ্দিন একজন কোরআনের হাফেজ ও সৎ চরিত্রবান। পারিবারিক ভাবে সচ্ছল। তার ২ ভাই প্রবাসী। সেই নিজে ২টি পিকআপের মালিক। কিশোর গ্যাংয়ের স্বার্থ তাকে দিয়ে রক্ষা হচ্ছে না বা তাদের কথা শুনেননি বিধায় তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়।
উল্লেখ্য যে, গত ১ জুন (শনিবার) আমিলাইশের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক চৌধুরী, স্থানীয় মেম্বার ও নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের জনগণের উদ্যোগে এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ এবং আমিলাইশে সৃষ্ট কিশোর গ্যাংয়ের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ৪ জুন (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মটর চালক লীগেল সভাপতি মাহবুবুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক রফিক ওমরের উদ্যোগে আরেকটি প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কেরানীহাট চত্বরে পালন করেন হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে।
Leave a Reply