আনোয়ার হাসান চৌধুরী, কক্সবাজারঃ বর্জ্যের অব্যবস্থাপনার দায়ে জেলার ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতাল কতৃপক্ষকে ১ লাখ টাকা ও সী সাইড হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা দণ্ড দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহান ইতুর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে এ দণ্ড প্রদান করা হয়। অভিযানে সিভিল সার্জন ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া সহযোগিতা করেছেন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহান ইতু জানান, ‘মেডিকেল বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকা এবং পরিবেশ দূষণ করে সেবাগ্রহীতার স্বাস্থ্যহানি করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন কক্সবাজারে জেলা কর্মকর্তাদের সাথে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রীর মতবিনিময়
প্রসঙ্গত, হাসপাতালে উৎপাদিত বর্জ্যের ৮০ শতাংশ সাধারণ এবং ২০ শতাংশ ক্ষতিকারক। তবে ব্যবস্থাপনা ত্রুটির কারনে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সবই ক্ষতিকারক বর্জ্যে পরিণত হচ্ছে, যা থেকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগ ছড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিকিৎসা বর্জ্যরে সঙ্গে যেসব রাসায়নিক পদার্থ ও হেভি মেটাল থাকে, তা থেকে অসংক্রামক রোগও ছড়ায়। এসব রোগের মধ্যে ক্যানসারের মতো মরণ ব্যধিও রয়েছে। দেশের চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গাইডলাইন অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ বর্জ্যকে কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। বর্জ্যের ধরন অনুযায়ী তা সংরক্ষণের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা রয়েছে যা হরহামেশা লঙ্ঘিত হচ্ছে।। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দেশের অধিকাংশ হাসপাতালে বর্জ্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই; অসংখ্য হাসপাতালে নেই বর্জ্য শোধনাগার।