আমানত করিম চট্টগ্রাম বাঁশখালী প্রতিনিধি >>> গত ১৬ আগস্ট রাত থেকে রবিবার বিকাল পর্যন্ত টানাবৃষ্টিতে পূর্বাঞ্চলীয় এলাকার ৯০ শতাংশ কৃষিজ জমি ডুবে যায় পাহাড়ি অতিমাত্রায় পানির ঢ়লে,গত শনিবার ১৭ আগস্ট,বাঁশখালীতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে মো. নোহান মিয়া (১২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পুঁইছড়ি গজিনিয়া পাড়া এলাকার এ ঘটনা ঘটে। নোহান মিয়া একই এলাকার আমিন হোসেনের ছেলে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পুঁইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেকুর রহমান।বাঁশখালীতে পাহাড়ে ঢলে ও টানা বৃষ্টিতে শুক্রবার রাত থেকে রবিবার বিকাল পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।ফলে চরম দুর্ভোগে পোকা তো হচ্ছে স্থানীয়দের।
উপজেলার পুকুরিয়া, সাধনপুর, কালীপুর, বৈলছড়ি, জলদী, শীলকূপ, চাম্বল, পুঁইছড়ি এলাকায় পাহাড়ি ঢলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও তলিয়ে গেছে উপজেলার নিম্নাঞ্চল।সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা যায়, টানা বৃষ্টির ফলে উপজেলার সাধনপুর, কালীপুর, গুনাগরি, বাঁশখালী মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের সামনে ও বৈলছড়ি বাজার, পৌরসভার বাঁশখালী প্রধান সড়ক টপকে গিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহিত হয়। এতে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। অনেকের বসতঘর পানিতে তলিয়ে যায়। তলিয়ে যায় পূর্ব বাঁশখালীর বিভিন্ন গ্রামের চলাচলের সড়কগুলো।
অতিরিক্ত পাহাড়ি ঢ়লে মসজিদ, মাদরাসাসহ স্কুল,বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও পানিতে তলিয়ে যায়। অধিকাংশ মাছের প্রজেক্ট ও পুকুর তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে মুখে পড়েছে মৎস্য ব্যবসায়ীরা। পানি নিষ্কাশনের খালগুলো দখল, দূষণ এবং অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে এমন অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কে. এম সালাহউদ্দিন কামাল জানান, ভারী বর্ষণে আমার ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান প্লাবিত হয়েছে। পানিতে মাস্টার পাড়ায় একটি মাটির ঘর সম্পূর্ণ ভেঙে মাটি চাপায় ২টি ছাগল মারা গেছে এবং ভূপতি দে কালু ও তার স্ত্রী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
অতি বৃষ্টিতে সম্মানিত সাধনপুর ইউনিয়নবাসীকে সর্তকতা অবলম্বনের অনুরোধ করা যাচ্ছে।বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার জানান, পুঁইছড়ি ইউনিয়নে এক শিশুর মৃত্যুর খবর টি স্থানীয় চেয়ারম্যান তারেকুর রহমান নিশ্চিত করেন। এবং আমি প্রতিটি ইউনিয়নের খোঁজ খবর রাখছি।
বাঁশখালী উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু সালেক জানান, 'গতরাত থেকে সকাল অবধি টানা বর্ষণের ফলে পাহাড়ী ঢলের পানিতে ৮০-৮৫ শতাংশ কৃষিজ জমি পানির নীচে তলিয়ে যায়। কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানা যাবে দু-একদিনপরে। পাহাড়ী ছড়াগুলো অবমুক্ত থাকলে এ ক্ষয়ক্ষতি হতো না বলে জানান এই কৃষি কর্মকতা।এছাড়া বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নে মাস্টার পাড়ায় একটি মাটির ঘর সম্পূর্ণ ভেঙে মাটি চাপায় ২টি ছাগল মারা গেছে এবং ভূপতি দে কালু ও তার স্ত্রী আহত হন।