চাটগাঁর সংবাদ ডেস্ক: আজ ৩০ জুলাই বিশ্ব মানবপাচার প্রতিরোধ দিবস। মানবপাচার একটি গর্হিত অপরাধ। এটিকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অপরাধমূলক কার্যক্রম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্রগুলোর সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল কার্যক্রম হচ্ছে মানবপাচার। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশও এই অপকর্মের জন্য ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত।
জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ১২৪ মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্র্যের সম্মুখীন। এতে কোটি কোটি মানুষ মানবপাচারের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। শিশুরা অনেক বড় ঝুঁকিতে রয়েছে এবং তা বেড়েই চলেছে। বিশ্বজুড়ে মানবপাচারের শিকার ব্যক্তিদের এক–তৃতীয়াংশ শিশু। এই হার গত ১৫ বছরে তিনগুণ বেড়েছে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোয় মানবপাচারের শিকার ভুক্তভোগীর অর্ধেকই শিশু, যাদের সিংহভাগকে জোরপূর্বক শ্রমের জন্য পাচার করা হয়। সব জায়গায়ই ঝুঁকিতে থাকা মানুষগুলোকে চিহ্নিত,নিয়ন্ত্রণ ও তাদের দুর্বলতার সুযোগ নিতে অপরাধীচক্র প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। যৌন নিপীড়ন, জোরপূর্বক বিয়ে ও অন্যান্য নিপীড়নের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে শিশুদের লক্ষ্যবস্তুত বানানোর হার দিনে দিনে বাড়ছে।’
একাধিক গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, মাদক ব্যবসা ও অস্ত্র পাচারের পর মানবপাচার পৃথিবী ব্যাপী দ্রুত বর্ধিত অপরাধ। বাংলাদেশ থেকে মানবপাচার বেড়েই চলেছে। প্রতি বছর হাজারো মানুষ পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ছেন। এর পেছনে মূলত দায়ী ভালো চাকুরীর আশায় মানুষের বিদেশে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা। কিন্তু, তারা পাচার হচ্ছেন কি না বা জোরপূর্বক তাদের ক্রীতদাসের মতো কোনো কাজে আটকে রাখা হচ্ছে কি না, এসবের ঝুঁকি সম্পর্কে ভাল করে না জেনেই তারা বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
তবে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ সরকার মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ভালো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে এবং পাচারের শিকার অনেককে উদ্ধারও করতে পেরেছে। একটি মার্কিন প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সাফল্যের কারণে মানবপাচারের বিরুদ্ধে অবস্থানরত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশকে দুই ধাপ উন্নীত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসনের জন্য বিদেশগামীদের কর্মদক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।