অনলাইন ডেস্কঃ নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলাদেশের জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলগুলো যে প্রতিশ্রুতি পত্র জনগণের সম্মুখে মেলে ধরেছিলেন তার সঠিক বাস্তবায়ন কতটুকু হবে? আদৌ হবে কী না তা নিয়ে সব কালেই প্রশ্ন ওঠে। গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঘোষিত ইশতেহারের বাস্তবায়ন কতটা হয়েছে তার ওপর আলোকপাত করলে অনেকটাই সমীকরণ হয় এ বিষয়ে। নির্বাচনের আগে রেওয়াজ অনুযায়ী কেবল ইশতেহার ঘোষণা নয়, এর সঠিক বাস্তবায়ন চান ভোটাররা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী দল আওয়ামী লীগ ভোটের পূর্বমুহূর্তে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো তার সঠিক বাস্তবায়ন দেখতে চায় জনগণ।
ইশতেহার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সরকার পরিচালনার মূলনীতি ও দর্শনের বিষয় আঁচ করতে পেরে ভোট দিয়ে থাকেন ভোটাররা। জনগণ নিজেদের দৈনন্দিন জীবনে যেসব সমস্যা ও সংকট মোকাবিলা করেন তার অবসানের জন্য ইশতেহার বিশ্লেষণ করে জনগণ ভোট দিয়েছে, ভোটে নির্বাচিত করেছে। এবার আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ হবে সেইসব প্রতিশ্রুতি পূরণে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে।
দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে এবং আয়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ রাখার যে প্রতিশ্রুতি আ. লীগ দিয়েছিলো প্রথমেই সেটি নিয়ে কাজ দেখতে চায় জনগণ। এছাড়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিতে হবে বেশ কড়া অবস্থান।
আরও পড়ুন রাজনীতি থেকে হরতাল-অবরোধের সংস্কৃতি বন্ধ হোক
টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সামনে মোটা দাগে চারটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো হলো- অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তির পরিসর বাড়ানো, স্থিতিশীল সুশাসন এবং জলবায়ু পরিবর্তনরোধ ও অভিযোজন। ৭ জানুয়ারির ভোটে যে দলই জিতুক ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধ করতে এবং নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে সদিচ্ছার অভাব হবে না এটাই প্রত্যাশা সকলের।
সদ্যসমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফল থেকে জানা গেছে, এবার ২২৩টি আসনে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এর পরপরই রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, তারা জয় পেয়েছেন ৬১টি আসনে। জনগণের ভোটে দ্বাদশ যারা জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে তাদের সকলের উচিৎ জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষাসহ সকল দুর্ভোগ-দুর্দশা দূরীকরণে ভূমিকা রাখা।