অনলাইন ডেস্কঃ জেন্ডার প্লাটফর্ম বাংলাদেশ (জিএফবি) এর উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি নির্যাতন প্রতিরোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও আইন প্রণয়নসহ সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের আহবান জানানো হয়েছে। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জিএফবির পক্ষে এক লিখিত বক্তব্যে বিশিষ্ট নারী নেত্রী ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) এর পরিচালক নাজমা ইয়াসমিন এই সাত দফা দাবি উত্থাপন করেন।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কর্মক্ষেত্রে কমিটি গঠনে হাইকোর্টের নির্দেশনা কার্যকর এবং কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইএলও কনভেনশন-১৯০ অনুসমর্থনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
আরও পড়ুন বাল্য বিবাহ হ্রাসে ৩ প্রস্তাব বিএনপিএস এর মতবিনিয়ময় সভায়
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সালমা আলী বলেন, ভারত ও নেপালসহ অনেক দেশে যৌন হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধে আইন রয়েছে। বাংলাদেশে এই আইনটি প্রণয়ন হলে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি নির্যাতন প্রতিরোধ কমে আসবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসমর্থনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। যৌন হয়রানি বা এর প্রতিরোধে ২০০৯ সালে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনার শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে। এ নির্দেশনার পাশাপাশি আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসারে আইন ও নীতিমালা গঠন এবং বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। জেন্ডারভিত্তিক হয়রানি ও সহিংসতা মোকাবেলায় ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতি প্রয়োগ করা এবং এ লক্ষ্যে ট্রেড ইউনিয়ন এবং ফেডারেশনের প্রয়োজনীয় সক্ষমতা তৈরি করা জরুরী। গণমাধ্যমও এ ব্যাপারে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।
লিখিত বক্তব্যে নাজমা ইয়াসমিন আরো বলেন, ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চলতি বছর ২৫ নভেম্বর থেকে পক্ষকালব্যাপী ১৩ টি শ্রমজীবী সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে জনসচেতনতার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এতে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে টেকসই অর্থায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতায় স্বাস্থ্যগত প্রভাব, শারীরিক, মানসিক, যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: বাসস
Leave a Reply