জ্বালানির সন্ধানে উপসাগরীয় কয়েকটি দেশ সফর করছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। দুই দিনের উপসাগরীয় দেশ সফরের শুরুতে শনিবার তিনি সৌদি আরব আসেন এবং সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ইউক্রেনে হামলা চালানোর কারণে রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি না পাওয়ার ব্যর্থতা ঘুচাতে মূলত ওলাফ উপসাগরীয় কয়েকটি দেশ সফর করছেন। তার সঙ্গে রয়েছে ছোট একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল। ওলাফ চাচ্ছেন তেল ও গ্যাস সমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশগুলোর সাথে জ্বালানি অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে।
সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে তিনি লোহিত সাগর তীরবর্তী জেদ্দায় বৈঠক করেন।
তবে, সালমানের সাথে তার বৈঠকটি খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। কারণ, ইস্তাম্বুলের সৌদি কনুস্যলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগির নির্মম হত্যাকান্ডের সাথে সালমানের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় পশ্চিমের দেশগুলোর সাথে তার সম্পর্কে টান পড়ে যায়।
এ প্রেক্ষিতে সালমানের সাথে বৈঠকের পর ওলাফ জার্মান সাংবাদিকদের বলেন, মানবাধিকার সংক্রান্ত সকল বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
খাসোগির হত্যাকান্ডের পর জার্মান সরকার তীব্র ভাষায় এর নিন্দা জানিয়েছিল। এ সফরের প্রাক্কালে জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে তাদের অবস্থানের কোন হেরফের হবে না।
তবে, জীবাশ্ম জ্বালানির রপ্তানিকারক ও আঞ্চলিক শক্তিধর দেশ হিসেবে সৌদি আরবের কার্যত শাসক সালমানের সাথে একটি ‘দৃঢ় কম সম্পর্ক’ প্রয়োজন বলে জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে, সালমান সম্ভবত আগামী ১০, ২০ কিংবা ৩০ বছর দেশটির নেতৃত্ব দেবেন।
ওলাফ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে শনিবার সৌদি আরব ত্যাগ করেন। আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট জায়েদ আল নাহিয়ানের সাথে রোববার সকালে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। একইদিনে তিনি গ্যাস সমৃদ্ধ কাতার যাবেন এবং আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সাথে সাথেও বৈঠক করবেন।