ইসমাইল হোসেন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্টঃ চোখের যত্ন নিন, চোখ বাঁচান, চোখ আপনার অমূল্য সম্পাদ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামায় ফাইতং ইউনিয়ন আমজনতার বন্ধু আব্দুল জলিল কোম্পানির উদ্যোগে নিজ বাড়িতে চকরিয়া চক্ষু হাসপাতাল সহযোগিতা ফ্রী চক্ষু চিকিৎসা প্রদান করেন।
রবিবার (৯ জুন) সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ১৫০জন রোগীকে বিনামুল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদান কর্মসুচী পালিত হয়েছে। দিনব্যাপী কর্মসুচীতে ১৫০জন রোগীকে চোখের বিভিন্ন সমস্যার বিনা খরচে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত রোগীদের চিকিৎসা সেবা হিসেবে ব্যবস্থাপত্র, বিনামুল্যে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত বিভিন্ন বয়সের রোগীদের দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে চিকিৎসা সেবা নিতে দেখা গেছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, ফাইতং ইউনিয়ন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজসেবক আব্দুল জলিল কোম্পানি, বিশেষ অতিথি হিসেবে ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সহ- সভাপতি উম্রামং মার্মা, মাওলানা মোহাম্মদ হোসাইন, নাজেমুল ইসলাম নাজু কোম্পানি, মো. নরুল ইসলাম, এরশাদ হোসাইন, মহিলা মেম্বার শাহেদা ইয়াসমিন'সহ প্রমূখ। দিনব্যাপী আয়োজনে চকরিয়া চক্ষু হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসক ডাঃ হোসেন সাকিব ৪/৫জন টেকনিশিয়ান আগত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেন।
আরও পড়ুন রেমালে স্থগিত বাঘাইছড়ি উপজেলায় নির্বাচন ৯ জুন
ফাইতং সুতাবাদী এক মহিলা বলেন, অনেকদিন যাবত চোখের সমস্যায় ভোগছিলাম। এখানে এসে ফ্রি ডাক্তার দেখানোর সু-ব্যবস্থা করে দিচ্ছে আব্দুল জলিল কোম্পানি। কোনো টাকা পয়সা খরচ ছাড়া এমন ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য খুব ভাল লাগছে। ফাইতং হেডম্যান পাড়া এক মার্মা বলেন, এই ইউনিয়নে সুবিধাবঞ্চিত ১৫০জন মানুষকে আজ দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। দুর্গম ইউনিয়ন চক্ষু চিকিৎসা কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জলিল কোম্পানির ব্যক্তিগত এ'উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে চিকিৎসা সেবা দেন চকরিয়া চক্ষু চিকিৎসা ও তার সহযোগী চিকিৎসকরা। দুর্গম এলাকার চিকিৎসা সেবাবঞ্চিত দরিদ্র মানুষজন এই সেবা পেয়ে জলিল কোম্পানি প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। চক্ষু চিকিৎসা সেবার আয়োজক আব্দুল জলিল কোম্পানি বলেন, ফাইতং ইউনিয়নের সবগুলো গ্রামের মানুষ চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত। তাদের অনেকেই স্বাস্থ্য সেবার জন্য কোনো সুব্যবস্থা না থাকায় । এই স্বাস্থ্য সেবায় তাদের সম্পূর্ণ বিনা খরচে চক্ষু পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করার নিজ উদ্যোগ। গতবছরের নিয়াই আগামীতেও প্রতি বছর এই সেবা অব্যাহত থাকবে।