মো. শোয়াইব, হাটহাজারী প্রতিনিধিঃ বিচারকের স্বাক্ষর জালিয়াত করে ভূমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-৩ (হাটহাজারী) এ সাতজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন আহমদ মোস্তাফা নামে এক ব্যক্তি। হাটহাজারী উপজেলার ৯নং গড়দুয়ারা ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ড হাটহাজারী কোর্টের ৪১৭/১০নং মামলার রায় জালিয়াতের অভিযোগ করেছেন সেই বাদী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৩ শাহরিয়ার ইকবালের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় বিবাদী রয়েছেন, একই পরিবারের ৬জনসহ মোট সাতজন। বিবাদীরা হলেন- ১। আহমেদ ছগীর, ২। মো. সৈয়দ, ৩। নুর হোসেন, ৪। মো. শফি, ৫। নুর বেগম, ৬। জেবল হোসেন, ৭। সরোয়ার। তারা ৯নং গড়দুয়ারা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী আহমদ মোস্তফা চলতি বছরের ১০মে মাদার্শা ভূমি অফিসে খাজনা দিতে গিয়ে জানতে পারেন তাদের পৈত্রিক বিএস ৩৯৭নং খতিয়ান এর ৪১৭/১০ইং মামলা মূলে অন্য মালিকানায় নামজারী হয়ে গেছে। এসময় বাদী ভূমি অফিস থেকে রায়ের কপি সংগ্রহ করেন এবং হাটহাজারী কোর্ট থেকে ৪১৭/১০ এর বিবরণ জানার জন্য দরখাস্ত করেন। তিনি মামলার বিররণী সূত্রে জানতে পারেন, ১হইতে ৬নং আসামী জালিয়াতি করে তার ২২শতক জমি আত্মসাৎ করেছেন এবং জালিয়াতির মাধ্যমে নামজারী খতিয়ান নং ৩৩,৫৪,৩০,৫৫,৩৪, ১৮ ও ৩৫১৪ সৃষ্টি করেছেন।
আরও পড়ুন বিকল সরঞ্জাম নিয়ে চলছে হাটহাজারীর সরকারি হাসপাতাল
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ভূমিটির মালিকানা দাবি করে পুনরায় আহমদ মোস্তফা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (হাটহাজারী) আদালতে সিআর মামলা ১০৬০/২৩, তারিখ ০৮/১১/২০২৩ মামলাটি দায়ের করেছেন। মোস্তফার অভিযোগ আদালত সরাসরি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মোস্তফার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আইয়ুব এ প্রসঙ্গে আলাপকালে চাটগাঁর সংবাদকে বলেন, ‘ইদানিংকালে শুধু এ মামলাটি নয় অহরহ জালিয়াতি ও প্রতারণা এবং জাল দলিলের মাধ্যমে একজনের সম্পত্তি আরেকজনের নামে ট্রান্সফার করে নামজারি করে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে। জালিয়াতির বিষয়ে আমার মুয়াক্কেল আদালতে মামলা করেছেন আমি এই বিষয়ে অবগত আছি। উল্লিখিত ঘটনায় কোর্টের স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে নামজারি খতিয়ান এবং রায় নকল করে খতিয়ান সংশোধন করা হয়েছে। অথচ হাটহাজারী সহকারী জজ আদালতে ৪১৭/১০ নং মামলায় এই ধরনের কোনো রায় দেয়া হয় নাই।’
মামলাটির বিবাদীপক্ষের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাদের মতামত জানা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply