চাটগাঁর সংবাদ ডেস্কঃ প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী পানির ঢলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। অতিবৃষ্টির কারণে শঙ্খ ও ডলুনদীর পানি তীর উপচে কয়েক ফুট উঁচুতে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) পুরো উপজেলায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। উপজেলার পৌরসভাসহ বিভিন্ন এলাকার মূল সড়ক পানির নীচে তলিয়ে গেছে। সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও থানা কম্পাউন্ডে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।
এছাড়া বন্যায় শত শত পুকুর ডুবে উপজেলার মৎস্য খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্ষতির পরিমাণ ২০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।
বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার ধানসহ অন্যান্য ক্ষেত খামারের উঠতি ফসল পানির নীচে তলিয়ে গেছে। সোনাকানিয়া, দক্ষিণ ঢেমশা, দক্ষিণ চরতি, আমিলাইষ, নলুয়া, খাগরিয়া, কালিয়াইশ, ধর্মপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে স্থানীয়রা।
সাতকানিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ‘প্রায় ১৭টি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। সব ইউনিয়নে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে পানিবন্দি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের খাবার পানি, শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের ইউনিয়নভিত্তিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা পর্যবেক্ষণ করছেন।’
উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য শুকনা খাবার ও ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি সম্পর্কে জানার জন্য উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।’
সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডাক্তার অমিত কুমার নাথ বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কমপাউন্ডে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। তবে দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীদের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রয়েছে।’
তথ্যসূত্র: সংগৃহীত
Leave a Reply