অনলাইন ডেস্কঃ ভারী বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সোমালিয়ার বেশকিছু অঞ্চল। সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় বিভাগ (ইউএনওসিএইচএ) জানিয়েছে, খরা ও বন্যার ফলে গত এক বছরে দেশটিতে বাস্তুচ্যুত হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজারের বেশি মানুষ। খবর রয়টার্স।
মাইক্রো ব্লগিং প্লাটফর্ম এক্সে এক বার্তায় সোমালিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বন্যায় অন্তত দশ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সরকার।
পূর্বাভাস অনুসারে, চলতি বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বরে এল নিনোর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হবে দেশটিতে। এরই মধ্যে পুন্টল্যান্ড, গালমুডুগসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলের নদী তীরবর্তী এলাকায় ভারী বর্ষণের ফলে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
বেশ কয়েক বছর ধরে লাগাতার অর্থনৈতিক নাজুক সময় পার করছে আফ্রিকার এই দেশ। চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক খরার এক বছর পর বন্যায় আক্রান্ত হলো সোমালিয়া। এল নিনোর প্রভাব ও বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতির ফলে চরম দুর্ভোগে রয়েছে দেশটির জনগণ।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, জলবায়ুজনিত সংকট, সহিংসতা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে খাদ্য মূল্য বৃদ্ধির কারণে সোমালিয়ায় অন্তত ৪৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
এছাড়া দুর্যোগ ও রেকর্ড খরা লাখ লাখ মানুষকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে। যাতে সাময়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাত লাখ ৬ হাজার ১০০ জন মানুষ। বিভিন্ন স্থানে বাস্তুচ্যুত হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৬৯০ জন।
ভাষান্তর: বণিক বার্তা