আজ ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

অবশেষে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের অনুমতি পেলো বিএমডিপো


চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষে দেয়া শর্তপূরণ করায় এবং বন্দরের অনাপত্তি ও ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স দেওয়ায় এবার রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি আমদানি পণ্যও হ্যান্ডলিং করতে পারবে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত এক অনুমতিপত্র দিয়েছে বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষকে। অনুমতিপত্রে বলা হয়, কতিপয় শর্ত পালনসাপেক্ষে বিএম ডিপোকে তিন মাসের জন্য রপ্তানি পণ্য হ্যান্ডলিয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তিতে বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বন্দরের অনাপত্তি পাওয়ায় এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স’র শর্ত মেনে ফায়ার লাইসেন্স পাওয়ায় রপ্তানির পাশপাশি আমদানি পণ্য হ্যান্ডলিয়েরও অনুমতি দেওয়া হলো।

তবে সেক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত ৩৮ ধরণের পণ্যের মধ্যে ফায়ার লাইসেন্সে উল্লেখিত পণ্যগুলো হ্যান্ডলিং করতে পারবে। মূলত বিভিন্ন শর্ত মেনে চলায় এবং দফায় দাফায় বিএম কনটেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই অনুমোদন মিলেছে। আর এর মাধ্যমে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসছে অগ্নিকান্ডের বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত হওয়া বহুল আলোচিত বিএম কনটেইনার ডিপোর কার্যক্রম।

এর আগে বিএম ডিপোকে দেওয়া শর্তগুলো হলো- কার্যক্রম শুরুর পূর্বে বন্দরের অনাপত্তিপত্র নিতে হবে। বেসরকারি আইসিডি নীতিমালা ও বন্ডেড ওয়্যার হাউস লাইসেন্স বিধিমালা মানতে হবে। ফায়ার লাইসেন্সের শর্তাবলি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ও অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইনের বিধি নিশ্চিত করতে হবে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ফায়ার সেফটি প্ল্যান সংগ্রহ করে তার বাস্তবায়ন করতে হবে।

নিয়ম অনুযায়ী যথাযথ কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থাপন করতে হবে। পুরো আইসিডি এলাকা সিসিটিভি’র আওতায় আনতে হবে এবং ব্যাকআপ স্টোরেজ স্থাপন করে লিখিতভাবে জানাতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত শেড ও অফিস ভবন পূর্ণাঙ্গ নির্মান করে কাস্টমস কর্মকর্তাদের শুল্কায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। অফডক পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত সফটওয়্যারের সাথে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক একসেসের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে কেমিক্যাল বিস্ফোরণে অর্ধশতাধিক লোক প্রাণ হারান। দুর্ঘটনার পরদিন ৫ জুন থেকে বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে সব ধরণের বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল বন্ধ করে দেয় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। সেই থেকে বন্ধ হয়ে যায় ডিপোটির সব ধরণের কার্যক্রম। এতে অলস সময় পার করছিলেন ৫ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। এবার অনুমতি মেলায় ওইসব কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজের কিছুটা নিশ্চায়তা পেলো।

তথ্যসূত্র: পূর্বকোণ


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর