ফসলী জমির চারপাশে এবং পতিত জমিতে তিল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। সম্প্রতি খাদ্য গুণাগুনে অনন্য ফসলের চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে জয়পুরহাটের কৃষকদের মাঝে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০২২-২৩ রবি মৌসুমে ৪৮ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ৫০ হেক্টর জমিতে। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ মেট্রিক টন তিল।
খাদ্য গুণাগুনে অনন্য, পুষ্টি, তেল, মোয়া ও পশু খাদ্যের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে তিল ও তিলের গাছ। তিল চাষে কৃষকদের তেমন কোন পরিচর্যা করতে হয়না। যে কোন জমিতে তিলের চাষ করা যায়। বিশেষ করে জমিতে থাকা অন্য ফসল রক্ষা করার জন্য এ অঞ্চলের অনেক চাষি জমির চারপাশ দিয়ে তিল চাষ করে থাকেন। আবার জমির আইলে বা পতিত জমিতে যেখানে অন্য ফসল ঠিকমতো হয়না সেখানে তিলের চাষ করা যায়।
তিলের তেলসহ খাদ্য গুণাগুনে সমৃদ্ধ হলেও সনাতন সম্প্রদায়ের পূজা পার্বণে অতিথি আপ্যায়নে ব্যবহৃত তিলের মোয়া বেশ সুস্বাদু ও জনপ্রিয় খাবার। জয়পুরহাট সদর, পাঁচবিবি ও আক্কেলপুর উপজেলায় মূলত বেশি পরিমান তিলের চাষ হয়ে থাকে। জয়পুরহাট সদরের ধলাহার ইউনিয়নের বিষ্ণপুর এলাকার কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন, তিনি এবার দুই বিঘা জমিতে তিলের চাষ করেছেন। উৎপাদন বেশি, তুলনামূলক খরচ কম ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় তিল চাষিরা খুশি বলে জানান।
পাঁচবিবি উপজেলার শিমুলতলী এলাকার কৃষক সায়েম উদ্দিন, বজলুর রশিদ জানান, গত বছর ৫ কাঠা জমিতে তিলের চাষ করলেও দাম ভালো পাওয়ায় এবার ১০ কাঠা জমিতে তিলের চাষ করেছেন। বিশেষ করে শাখা যমুনা নদীর পাড় ঘেঁসে থাকা জমি গুলোতে অন্য ফসল তেমন হয়না এসব পতিত জমিতে তিল চাষে করে লাভবান হচ্ছেন বলে জানান কৃষকরা।
পাঁচবিবি উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা বিশেষ করে আয়মারসুলপুর , চাঁদপুর, ধরঞ্জি, বাগজানা, আটাপুর, ভূইডোবা এ গ্রাম গুলোতে বেশি চাষ হয় তিল। শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত পাঁচবিবি উপজেলাতেই এবার ২০ হেক্টর জমিতে তিলের চাষ হয়েছে বলে জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃিষবিদ মো: লুৎফর রহমান। এ অঞ্চলের মাটি তিল চাষের জন্য উপযোগী বলেও জানান তিনি।
তথ্যসূত্র: বাসস
Leave a Reply