অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মোখার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং কাছাকাছি দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবী দল ও পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী নিয়ে টেকনাফে অবস্থান করছেন মানবিক তরুণ ফারাজ করিম চৌধুরী।
শনিবার (১৩ মে) বিকেল ৫টা ৩৪ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি বলেন, ‘এখানে সাগরের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। ’
জানা যায়, গত (শুক্রবার) রাত ২ টায় ফারাজ করিম চৌধুরীর একটি স্বেচ্ছাসেবী দল টেকনাফে পৌঁছায়। সেইসঙ্গে প্রায় ৫ হাজার পরিবারের জন্য খাদ্যসামগ্রী প্যাকেটিং করে চট্টগ্রাম শহর থেকে কক্সবাজারের টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে ফারাজ করিম চৌধুরীর আরও একটি স্বেচ্ছাসেবী দল। তাছাড়া, আরও ২ হাজার পরিবারের জন্য খাদ্যসামগ্রী প্যাকেটিং করে আগামীকাল (রোববার) রাতে রওয়ানা দেওয়ার কথা রয়েছে। এসব খাদ্যসামগ্রীর প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে ৫০০ গ্রাম মুড়ি, ৫০০ গ্রাম চিড়া, ১ প্যাকেট বেলা বিস্কুট, ৪ পিস মোমবাতি, ২ লিটার মিনারেল ওয়াটার, ২৫০ গ্রাম চিনি, ২ পিস ম্যাচ, স্যাভলন, ওরস্যালাইন ও ব্যান্ডেজ।
এ প্রসঙ্গে ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, দেশের যে কোন দুর্দিনে আমরা বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। এবারও আমরা মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। তবে দোয়া করি যেন ঘুর্ণিঝড়টি আমাদের দেশে আঘাত না করে অন্যদিকে যেন ঘুরে যায়।