উগ্রবাদ শুধু বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ নয়, ভারতসহ অনেক দেশে এটি ঘটে থাকে। চলমান চরমপন্থা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
ভারত সফরের আগে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই দেয়া সাক্ষাৎকারে সংঘালঘুদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তাঁর সরকার ধর্মনিরপেক্ষতার মূল্যবোধে দৃঢভাবে বিশ্বাস করে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, বাংলাদেশে দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার উপস্থিতি তার শাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ... মানবিক কারণে আমরা এই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি এবং সব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি। এমনকি করোনার সময়, আমরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সবাইকে টিকা দিয়েছি। কিন্তু তারা কতদিন এখানে থাকবে? তাই তারা ক্যাম্পে অবস্থান করছে। আমাদের পরিবেশ বিপজ্জনক। এখন আবার কেউ কেউ মাদক ব্যবসায় বা নারী পাচার বা অস্ত্র সংঘাতের সঙ্গে জড়িত। দিনকে দিন তা বেড়েই চলেছে। তাই যত তাড়াতাড়ি তারা নিজ দেশে ফিরবে তা আমাদের দেশের জন্য এবং মিয়ানমারের জন্যও মঙ্গলজনক। তাই আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা তাদের সঙ্গে এবং আসিয়ান বা ইউএনও-সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গেও আলোচনা করছি।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। এখন তাদের দেশে ফিরে যাওয়া উচিত। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে এক্ষেত্রে ভারত মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমি মনে করি।