চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় জেলা প্রমাণ পরিকল্পনা ও বাজেট পর্যালোচনা শীর্ষক ত্রৈমাসিক সভা (District Evidence Based Planning & Budgeting (DEPB) Review Meeting Chattogram City Corporation) অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার সকালে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, আবদুস সালাম মাসুম, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, ইউনিসেফ চট্টগ্রাম বিভাগের চিফ অব ফিল্ড অফিসার মিসেস মাধুরী ব্যার্নাজী। স্বগত বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফের হেলথ অফিসার ডাঃ মোঃ দেলোয়ার হোসেন, তথ্য উপস্থাপন করেন ডাঃ প্রসুন রায়। উপস্থিত ছিলেন চসিকের উপসচিব ও জনসংযোগ কাম প্রটোকল অফিসার আজিজ আহমদ, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মঈনুল হোসেন আলী জয় সহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রতিনিধি বৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ইপিআই একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। বিশ^ব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। যার মূল লক্ষ হচ্ছে সংক্রামক রোগ থেকে শিশুদের অকালমৃত্যু ও পঙ্গুত্ব রোধ করা। নিয়মিত টিকা গ্রহণে কঠিন ১০টি রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এবং শিশু ও গর্ভবতী মহিলার মৃত্যুহার কমে আসবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ইপিআই কর্যক্রমে সারাদেশের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করে প্রশংসিত হয়েছে এবং এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যে টিকাদান কার্যক্রমে আধুনিক প্রযুক্তি ই-ট্যাকার সংযোযন করেছে যাতে এক বছরের নিচের সকল শিশুকে বিশেষ করে শহর এলাকায় জিরো ডোজ, আন্ডার ইমিউনাইজড ও মিসড কমিউনিটির শিশুদের খুঁজে এই কার্যক্রমের আওতায় আনা যায়। তিনি নগরীর ০-২৪ মাস বয়সী শিশুদের যথাসময়ে টিকা নিশ্চিত করে জিরো ডোজ শিশু সংখ্যা হ্রাস ও আংশিক টিকা প্রাপ্ত জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ন টিকার আওতায় আনার উপর গুত্বারোপ করেন।