২০৪১ সালের মধ্যে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ডলারের যে লক্ষ্যমাত্রা তা রাজনৈতিক ও উচ্চাভিলাষী। একইসঙ্গে এ লক্ষ্যমাত্রার ওপর ভিত্তি করে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের জন্য যে মহাপরিকল্পনা আসতে যাচ্ছে সেটিও বাস্তবসম্মত নয়। এমন মন্তব্য বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের। আজ বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় সিপিডি কার্যালয়ে ‘খসড়া সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি)-পরিচ্ছন্ন জ্বালানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে কি?’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ সব কথা বলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন ও অন্যান্য গবেষকরা।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরো বলেন, খসড়ায় নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সুনির্দিষ্ট কোন রূপরেখা নেই, বরং উচ্চমূল্যের বিদ্যুতের ব্যয়ের চাপ বাড়বে ভোক্তার ওপরে। এছাড়া তিনি বলেন, খসড়া সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব উপেক্ষিত হয়নি, তবে অবহেলিত হয়েছে।
‘বিদ্যুৎ-জ্বালানির জন্য অন্যান্য নতুন প্রযুক্তি নিউক্লিয়ার, অ্যামোনিয়া ও হাইড্রোজেনের ওপর নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে যে গুরুত্ব দরকার সেটা চোখে পড়েনি মহাপরিকল্পনায়। এই মহাপরিকল্পনা এখন পর্যন্ত যে আকারে আছে তাতে এলএনজি ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকে উৎসাহিত করা হয়েছে।’
২০২০ সালের মধ্যে সৌর, বায়ু ও জলবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য উৎস থেকে মোট ১০ শতাংশ উৎপাদনের লক্ষ্য ছিল সরকারের। সেখানে এখন পর্যন্ত অর্জন ৪ শতাংশের নিচে। এমন বাস্তবতায় আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে বিদ্যুৎ পাওয়ার লক্ষ্য রেখে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে ২০৫০ সাল নাগাদ দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৯০ হাজার মেগাওয়াটে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যকে বাস্তবসম্মত মনে করছে না বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি।