আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

ঈদের নামাজের নিয়ত-নিয়ম


অনলাইন ডেস্কঃ মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এদিন ঈদের নামাজ আদায় করাটা ওয়াজিব। বছরে দুই বার ঈদের নামাজ পড়ার কারণে অনেকেই এ নামাজের নিয়ত ও নিয়ম ভুলে যান। তাই পাঠকদের সুবিধার্থে সেগুলো বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।

ঈদের নামাজের পদ্ধতি স্বাভাবিক নামাজের মতো নয়। ঈদের দুই রাকাত নামাজের কোনো আজান, ইকামত নেই। এতে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবির রয়েছে। সেগুলো আদায়ের নির্দিষ্ট নিয়মও রয়েছে।

ঈদের নামাজ আদায় করবেন যেভাবে:

ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত (বাংলা উচ্চারণ): ‘নাওয়াইতু’আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’য়ালা রাক্তআতাইনে সালাতিল ঈদুল ফিতর, মায়া ছিত্তি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তা’য়ালা ইকতাদাইতু বিহাযাল ইমাম, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।’

নিয়তটি বাংলায়: আমি ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ অতিরিক্ত ৬ তাকবিরের সঙ্গে এই ইমামের পেছনে কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য আদায় করছি, আল্লাহু আকবার।

নিয়ত পড়ে হাত বাাঁধার পর অন্যান্য নামাজের মতো ছানা পাঠ করতে হয়। তারপর অতিরিক্ত তিনটি তাকবির দেন ইমাম; প্রথম দুই তাকবিরে হাত তুলে ছেড়ে দিতে হয় এবং তৃতীয় তাকবিরে পুনরায় হাত বাঁধতে হয়।

আরও পড়ুন বাংলাদেশে ঈদ ১০ নাকি ১১ এপ্রিল

অত:পর ইমাম ওয়াক্তী নামাজের মতো সুরা ফাতিহা পাঠ করেন এবং এর সঙ্গে অন্য একটি সুরাও পড়েন। তারপর রুকু-সিজদা করে প্রথম রাকাত শেষ হয়।

দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম সূরা পড়া শেষে রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তিন তাকবির দেয়। এসময় প্রতি তাকবিরের সঙ্গে হাত উঠাতে হয় এবং হাত ছাড়া অবস্থায় রাখতে হয়। তারপর ইমাম যখন চতুর্থ তাকবির দেবেন তখন রুকুতে যেতে হয়।

নামাজ শেষে ইমাম দুটি খুতবা পাঠ করবেন। যেহেতু ঈদের নামাজ ওয়াজিব তাই খুতবা শুনাটাও ওয়াজিব। এটি নামাজের অন্যতম অংশ। এসময় দেখা যায় অনেকে নামাজ শেষ হয়েছে মনে করে গল্প-আলাপে মশগুল হয়ে পড়েন। জেনে রাখা ভালো, খুতবা পাঠের সময় নিরবতা পালন করা ফরজ এবং কথা বলা হারাম।

খুতবা শেষে ইমাম মুনাজাত করে থাকেন। তার সাথে গভীর মনোযোগে অংশ নেওয়া এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে ঈদগাহ ত্যাগ করাটাও ঈদের শিষ্টাচার।

তথ্যসূত্র: সংগৃহীত


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর