ইকবাল হোসেন, সাতকানিয়াঃ সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে অ্যানেসথেসিয়া ও সার্জারি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। বিশেষ করে যেসব গর্ভবতী মায়েদের সিজারের প্রয়োজন হয় তারা সেবা পাচ্ছেন না এই হাসপাতালে। আধুনিক আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি বিকল, এক্স-রে মেশিনটাও টেকনিশিয়ান না থাকায় পড়ে আছে অলস। নেই দন্ত চিকিৎসক, স্পেশালিস্ট নেই চোখের সেবার ক্ষেত্রে। এছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর জনবল সংকট থাকায় ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে সেবা দিতে হচ্ছে ৫০ শয্যার রোগীদের।
সরজমিন দেখা গেছে, ১৯ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় রূপান্তর হলেও এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসে ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগী ও স্বজনেরা। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা। ফলে দূর্ভোগে পড়েছেন উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার জনগণ।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গর্ভবতীদের নরমাল ডেলিভারি করতে পারলেও কোনো গর্ভবতীর সিজারিয়ান ডেলিভারি (অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসব) প্রয়োজন হলে লোকবল সংকটের কারণে অন্য হাসপাতালে রোগীদের পাঠিয়ে দিতে হচ্ছে। সিজারিয়ান সেবা দেয়ার প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ থাকার পরও জনবল না থাকায় এ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে বেসরকারি পর্যায়ে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে রোগীদের। অন্যদিকে আধুনিক যন্ত্রপাতিগুলোও ব্যবহার না হয়ে অলস পড়ে আছে।
এ কারণে জনবল বৃদ্ধির মাধ্যমে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু করার দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসাপ্রার্থী রোগী ও স্বজনেরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কে এম আবদুল্লাহ আল মামুন চাটগাঁর সংবাদকে বলেন, ‘সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও প্রয়োজনীয় জনবল এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি। সিজারিয়ান করার সব যন্ত্রপাতি থাকলেও সার্জারি কনসালটেন্ট ও সংশ্লিষ্ট গাইনী ডাক্তার না থাকায় এই সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গর্ভবতী মহিলারা। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। লোকবল নিয়োগ হলে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা চালু হবে।’
Leave a Reply