লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রতি বছর বর্ষা এলেই বাড়ে ডেঙ্গু। ঋতু পরিবর্তনের কারণে ভাইরাস জ্বরের প্রবণতাও বাড়ে। একই সঙ্গে বাড়ে জ্বর-সর্দির সমস্যা। তাই সব জ্বরকে ভাইরাস জ্বর বলে অবহেলা করা মোটেই উচিত নয়। হতেও পারে আপনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রত্যেক বছর প্রায় ১০ কোটি মানুষ এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। ভাইরাস ও ডেঙ্গু জ্বরের মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। তাই ডেঙ্গুর উপসর্গগুলো সম্পর্কে জেনে রাখা প্রয়োজন।
ডেঙ্গুতে জ্বরের তীব্রতা অনেক বেশি হয়। ডেঙ্গুতে প্রায় ১০৪ ফারেনহাইট জ্বর উঠে। এই জ্বর ২ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। জ্বর ছাড়াও মাথাব্যথা, গা-হাত-পায়ে ব্যথা, গাঁটে ব্যথা, ডায়ারিয়া, বমি বমি ভাব দেখা দেয়। শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। পাশাপাশি গায়ে র্যাশ উঠতে শুরু করে। এছাড়া মাড়ি, নাক দিয়ে রক্তপাত, গলাব্যথা ইত্যাদি উপসর্গও দেখা দেয়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু রোগীকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
পেটে ব্যথা, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, মাড়ি, নাক বা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত, ত্বকে লাল র্যাশ, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করুন। ডেঙ্গুর শক সিনড্রোম তৈরি হলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। তখন পালস রেট বেড়ে যায় এবং রক্তচাপ কমে যায়। এর জেরে শরীর ঠান্ডা হয়ে যায় এবং দেহে অস্বস্তি তৈরি হয়। এমন অবস্থা তৈরি হলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করুন।
ডেঙ্গু জ্বরের জন্য নির্ধারিত কোন ওষুধ নেই। তবে ডাক্তাররা প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। ডেঙ্গু হলে শরীরকে পানিশূন্য হতে দেওয়া যাবে না। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পাশাপাশি তরল জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ করুন। ডাবের পানি, ফলের রস, স্যুপ, চিকেন সুপ খেতে পারেন।