সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল:
চন্দনাইশ উপজেলার বরমায় পালছুট বন্য হাতির আক্রমণে নিহত ও আহতের পরিবারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। ১৫ এপ্রিল সোমবার সকালে এ অনুদানের টাকা হস্তান্তর করেন এবং শোকাহতের সান্ত্বনা দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা বেগম। এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল ইরফান, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা রিয়াদ হোসেন, বন বিভাগ- পটিয়া রেঞ্জের রেঞ্জার নুরুল আলম হাফিজ প্রমুখ। এ সময় নিহতের দাফন সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য ২০ হাজার ও আহতের চিকিৎসার জন্য ১০ টাকা হস্তান্তর হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৫ এপ্রিল সোমবার দিবাপূর্ব রাতে পাহাড়ের বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য থেকে পালছুট হয়ে চন্দনাইশের বরমায় চলে আসে। ভোরে কয়েকটি গ্রামে চষে বেড়ায় এবং ফসলী জমি মাড়িয়ে ফসলের কিছুটা ক্ষতি করে। পরে সকালে ক্ষেপে গিয়ে সেবন্দি ও বাইনজুরি গ্রামের দু'ব্যক্তির উপর আক্রমণ করে। এতে বাইনজুরী ডা. ঈসা খানের বাড়ির মৃত আবদুর রাজ্জাকের ছেলে জাকির সওদাগর (৬২) নিহত ও সেবন্দি নুরুল ইসলাম চেয়ারম্যান বাড়ির নজরুল ইসলামের ছেলে সালাউদ্দিন (৩৫) হয়। আহত সালাউদ্দিনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে ওখানেই (চমেকহায়) চিকিৎসাধীন আছেন। বাদে জোহর বাইনজুরি কমল মিয়া চৌধুরী জামে মসজিদ মাঠে নিহত জাকির হোসেনের নামাজে যানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং তৎসংলগ্ন কবরস্থানে তাঁকে দাফনে করা হয়।
এলাকাবাসীর ধারণা, হাতি দু'টি বাঁশখালি থেকে দলছুট হয়ে চন্দনাইশের বরমার সেবন্দি ও বাইনজুরির লোকালয়ে আসে। ইতোপূর্বেও কয়েকবার বাঁশখালী, আনোয়ারা ও চন্দনাইশের বিভিন্ন এলাকায় হাতিরপাল লোকালয়ে এসে আক্রমণ করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলী সম্পদ, প্রাণহানিও ঘটেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিহতের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে শোকাহতদের সান্ত্বনা ও তাৎক্ষণিক অনুদান প্রদান করেন। পরবর্তী সরকারি আর্থিক সাহায্য বা ক্ষতিপূরণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।