মো. কামরুল ইসলাম মোস্তফা, চন্দনাইশঃ চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার বাসস্ট্যান্ডটিতে যাত্রীছাউনি ও গণশৌচাগার না থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে রোদ-বৃষ্টিসহ প্রতিকূল আবহাওয়াকালে এ দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছে। এ বাসস্ট্যান্ডে পাবলিক টয়লেট না থাকায় সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েন নারী যাত্রীরা। বর্ষা মৌসুমে পানি ও কাদার মধ্য দিয়ে বাসে ওঠা-নামা করতে হয় যাত্রীদের।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন এই পৌরসভার বাসস্ট্যান্ডটি একটি ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ড। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও বান্দরবানসহ বিভিন্ন রুটের দূরপাল্লার পরিবহন ও অভ্যন্তরীন যানবাহন চলাচল করে। এই বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিনি শত শত যাত্রী চলাচল করায় সবসময় জনসমাগম থাকে।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক উপ-শহর হিসেবে পরিচিত দোহাজারী পৌরসভার মত গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনি ও পাবলিক টয়লেট না থাকাকে কতৃপক্ষের উদাসীনতা ও যাত্রী হয়রানি বন্ধের সদিচ্ছা না থাকা এবং কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়াকে দুষছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন দোহাজারী-কক্সবাজার রেলযাত্রী কল্যাণ পরিষদের প্রস্তুতি সভা
পৌরসভার হাজারী টাওয়ার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ওয়াসিম এ প্রসঙ্গে চাটগাঁর সংবাদকে বলেন, ‘যাত্রী ছাউনি না থাকায় বর্ষা মৌসুমে যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। প্রচন্ড রোদ-বৃষ্টি ও ঝড়ে যাত্রীদের বিভিন্ন দোকানপাট ও মার্কেটগুলোর সামনে আশ্রয় নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা যানবাহনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।’
হাজারী শপিং সেন্টারে নবী ফুডসের সত্ত্বাধিকারী আরাফাত হোসেন বলেন, ‘আমার দোকানটি বাসস্ট্যান্ডে সড়কের পার্শ্বে হওয়ায় প্রতিদিন আমি প্রত্যক্ষ করি যাত্রীদের দুর্ভোগ। বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য যাত্রীদের মহাসড়কের পাশে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। যত্রতত্র দাঁড়িয়ে থেকে গাড়ির জন্য অপেক্ষমান যাত্রীদের মধ্যে পুরুষদের বেলায় তেমন একটা সমস্যা না হলেও নারী যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয় বেশি। বিশেষতঃ পাবলিক টয়লেট না থাকায় নারী যাত্রীদের দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কম গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনি থাকলেও দোহাজারী পৌরসভার মত গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনি না থাকা সত্যিই দুঃখজনক।’
এ ব্যাপারে দোহাজারী পৌরসভার মেয়র মো. লোকমান হাকিম বলেন, ‘দোহাজারী পৌরসভা বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ জরুরী হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়ক প্রশস্থ করার কাজ চলমান থাকায় যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। এখন যেহেতু তাদের কাজ শেষ হয়েছে, সেহেতু সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে আলোচনার মাধ্যমে স্থান নির্ধারণ করে দ্রুততম সময়ে যাত্রী ছাউনি নির্মাণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
Leave a Reply