অনলাইন ডেস্কঃ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া এখনই রিলিজ পাচ্ছেন না। তাকে বাসায় নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা এখনও হয়নি। কবে হাসপাতাল ছাড়তে পারবেন সেটিও নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না তার চিকিৎসকরা।
গত ১৮ দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তার অবস্থা সম্পর্কে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার নানা শারীরিক জটিলতার কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তবে সেটাকে ভালো বলা যাবে না। এখনো হাসপাতালে তাকে আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন বলে চিকিৎসকেরা মনে করছেন। সে কারণে তাকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতেই হবে।
তিনি যোগ করেন, খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়ার মতো তার শারীরিক পরিস্থিতি এখনো হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই থেকে তিনি ঢাকার এই হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তার লিভারে জটিলতা বেশি। কিছুটা উন্নতি করলেও এখনো ঠিক কত দিন হাসপাতালে থাকতে হবে, সেটি এ মুহূর্তে সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না চিকিৎসকেরা। তিনি শনিবার টেলিফোনে বলেন, ম্যাডামের স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল। জ্বর নেই। তবে পুরোনো রোগগুলো জটিলতা সব রয়েই গেছে।
হাসপাতাল কবে ছাড়তে পারেন-এমন প্রশ্নে বলেন, সেটি চিকিৎসকরা বলতে পারবেন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হাসপাতালে কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তির সময় তার শরীরে জ্বর ও কিডনি জটিলতা ছিল, বর্তমানে জ্বর নেই। আর কিডনির সমস্যাও ওষুধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে বয়সের বিবেচনায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা যে কোনো সময় অবনতির শঙ্কা থাকে। ফলে আরও কিছুদিন তাকে হাসপাতালে রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে।
৭৮ বছর বয়সি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, কিডনি, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। যে কারণে গত কয়েক বছর নিয়মিত বিরতিতে প্রায়ই তাকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হচ্ছে।
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়া সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্ত আছেন। করোনার সময় তিনি একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছিলেন। সে সময় বেশ কয়েকবার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয় তাকে।
এর আগেও গত ১৩ জুন রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সে সময় পাঁচ দিন পর তিনি বাসায় ফেরেন।
এর আগে গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার অ্যানজিওগ্রাম করা হলে তাঁর হৃদ্যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতার কারণে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
তথ্যসূত্র: যুগান্তর