ওসমান হোসাইন, কর্ণফুলীঃ বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের উদ্যোগে কর্ণফুলীর কলেজবাজারে আর্থিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের কলেজবাজার শাখায় এ সভায় সভাপতিত্ব করেছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মনিশংকর দত্ত।
কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেছেন ব্যাংকটির কর্মকর্তা মাহেরুল ইসলাম। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকটির চট্টগ্রাম বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন পটিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. আবু রায়হান।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আর্থিক সাক্ষরতা বা সহজ ভাষায় আর্থিক বিষয়ে পরিস্কার জ্ঞান থাকা আজকের যুগে একজন নাগরিকের জন্য অত্যাবশ্যক। তাই সকল আর্থিক বিষয়ে ধারণা প্রদান করে জনসাধারণের আর্থিক সাক্ষরতা বৃদ্ধি, ডিজিটাল লেনদেন বিষয়ে আলোকপাত, বিভিন্ন আর্থিক সেবা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বিভিন্ন বিষয়ে সম্যক ধারণাকে তুলে ধরার মাধ্যমে এই সংক্রান্ত জ্ঞানকে ছড়িয়ে দিতেই বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এ বিশেষ আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন কর্ণফুলীতে বাসা খুঁজতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার তরুণী
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং সবাইকে সঞ্চয় করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অতিথিদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির কর্মকর্তা দেবশ্রী দত্ত এবং পূজা ভৌমিক, ঋণগ্রহীতা, আমানতকারী, রেমিট্যান্স গ্রহীতা ও উক্ত ব্যাংকের সকলস্তরের গ্রাহক, সম্ভাব্য গ্রাহক ও সকল শুভানুধ্যায়ী।
প্রসঙ্গত, সহজ ভাষায় আর্থিক সাক্ষরতা বলতে বাজেটিং, বিনিয়োগ, ক্রেডিট ম্যানেজমেন্ট এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির মতো আর্থিক ধারণাগুলোকে বোঝার এবং প্রয়োগ করার সক্ষমতাকে বোঝায়। এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে, আর্থিক সাক্ষরতা হলো টাকাকে সঠিক পরিচালনা করার সক্ষমতা। বাংলাদেশ সরকারের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন ও ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং জাতীয় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কৌশল (২০২১-২০২৬) বাস্তবায়নে সবার জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে জনগোষ্ঠীর মাঝে আর্থিক সাক্ষরতা বিস্তার অপরিহার্য বলে দাবি করছে। এ কারনে জনগণের মাঝে ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবার সম্পর্কে সম্যক ধারণা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক সাক্ষরতা নির্দেশিকা প্রণয়ন করেছে। সে নির্দেশনায় প্রতিবছর ৬ মার্চ অথবা মার্চ মাসের ১ম সোমবার দিবসটি পালন করা হচ্ছে।