আজ ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এস আলমের মদের পার্টনার দিলীপ আগরওয়ালা!


অনলাইন ডেস্ক

সাবের ট্রেডার্স লিমিটেড। সংক্ষেপে এসটিএল। রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে অবস্থিত একটি মদ বিক্রির কোম্পানির নাম। এই মদ বিক্রয় কোম্পানির মালিক দু’জন। তাঁরা হচ্ছেন, চট্টগ্রামভিত্তিক বৃহৎ ব্যবসায়িক শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ এবং আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য কমিটির সদস্য তথা নকল হীরা বিক্রিতে আলোচিত ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার। এরমধ্যে এস আলম গ্রপের মালিকানা ৭৫ শতাংশ এবং বাকি ২৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। কম শেয়ার থাকলেও দিলীপ কুমার আগরওয়ালা সাবের ট্রেডার্স লিমিটেডের পুরোটারই কতৃত্ব খাটাতেন।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সাবের ট্রেডার্স লিমিটেড কূটনৈতিকদের ব্যবহারের জন্য আনা বন্ডেডওয়্যার হাউস সুবিধার মদ কালোবাজারে বিক্রি করতো। সাবের ট্রেডার্স লিমিটেড বিগত সাত বছরে সরকারের প্রায় ২৮৩ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে গত ৩ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা গুলশানের শো-রুম থেকে গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারের পর দিলীপের মদের কোম্পানি সাবের ট্রেডার্সে এনবিআরের নজরদারি বাড়ানোর হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে কয়েকশ কোটি টাকার শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা মদের মজুদ রয়েছে।

মূলত, বন্ড সুবিধায় আসা মদ কিনে থাকেন কূটনৈতিক ব্যক্তিত্ব তথা প্রিভিলেজড পারসনরা। প্রিভিলেজড পারসনদের শুল্কমুক্ত সুবিধার সনদ দিয়ে থাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট অফিস সূত্র জানায়, বন্ড সুবিধায় দেশে ছয় ধরনের মদ বা অ্যালকোহল- জাতীয় পানীয় বাংলাদেশে আসে। আমদানি করা মদের মধ্যে রয়েছে- (১) বিয়ার (২) স্পিরিটজাতীয় পানীয় (৩) হুইস্কি, রাম (৪) টাফিয়া, গিন (৫) জেনিভা, ভদকা, লিকারস (৬) করডিয়ালস।

উল্লেখ্য, বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের মধ্য দিয়ে ব্যাংকিং জগতে কর্তৃত্ব হারায়। মদ কেনাবেচা কাণ্ডে এস আলম গ্রুপের সংশ্লিষ্টতার খবরে চট্টগ্রামে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এছাড়াও এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ ও তাঁর সহযোগী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এই তদন্ত শুরু করেছে।

অপরদিকে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে সোনা ও হীরা আমদানির নামে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তিনি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন জেলায় নামমাত্র শোরুমের মাধ্যমে প্রকৃত ডায়মন্ডের বদলে উন্নত মানের কাচের টুকরাকে ডায়মন্ড হিসেবে বিক্রি করে জালিয়াতি করে আসছিলেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর