সন্ত্রাসবাদ ও অর্থপাচারের পাশাপাশি সহিংস চরমপন্থা এবং প্রযুক্তি নির্ভর অন্যান্য অপরাধ দমনে পুলিশের ডিজিটালাইজেশন একটি চমৎকার উপায় হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) গণভবন থেকে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব পুলিশ একাডেমিসের (ইন্টারপা) ১১তম বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, নতুন প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে সাইবার অপরাধ এবং সংঘবদ্ধ বহুজাতিক অপরাধের কারণে সৃষ্ট মানবতাবিরোধী কর্মকান্ড রোধে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা সুসংহত করা জরুরি। বর্তমানে এসব অপরাধের কারণে বিশ্বজুড়ে পুলিশের দায়িত্ব পালনে তীব্র চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। আজকের বিশ্বে একা কোন দেশের পক্ষে এসব মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। তাই, এসব সমস্যা মোকাবেলায় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা সুসংহত করার কোন বিকল্প নেই।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সহিংস চরমপন্থা এবং প্রযুক্তি ভিত্তিক বহুজাতিক অপরাধ দমনে চাহিদা ও ফলাফল ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, ইন্টারপা সদস্যদের সম্মিলিত ইচ্ছা ও যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিশ্বের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য তৈরি হতে পারে।
তিনি বলেন, এই সম্মেলনের মূল থিম ‘ডিজিটালাইজেশন অব পুলিশিং’ প্রকৃত অর্থেই সময়োপযোগী হয়েছে। বিশ্বায়নের এই যুগে সহিংস চরমপন্থা এবং আন্তঃসংগঠিত অপরাধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্যে এক বিরাট হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে সীমানা সামান্যই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রযুক্তি ও যোগাযোগের নতুন অগ্রগতি এই ধরনের অপরাধ নেটওয়ার্কগুলোকে তাদের মানবতাবিরোধী পরিকল্পনার বর্ধিত গতিশীলতার সঙ্গে চালিয়ে যেতে সক্ষম করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষ, সেবামুখী এবং আইসিটি-বান্ধব সেবার মাধ্যমে প্রান্তিক জনগণসহ সকলের কাছে তথ্যপ্রযুক্তি সহজলভ্য করে দেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে’ রূপান্তরের জন্য তারা সবধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন।
সূত্র : বাসস