অনলাইন ডেস্কঃ রেস্তোরাঁ বন্ধ কোনো সমাধান নয় মন্তব্য করে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী কায়দায় রেস্তোরাঁ ভাঙচুর ও সিলগালা করা হচ্ছে। অথচ সরকারি যেসব সংস্থা অবহেলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, দেশের রেস্টুরেন্ট খাতের বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানকে রক্ষা করতে ও স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে। সোমবার (১৮ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এসময় সংগঠনের সভাপতি ওসমান গনিসহ অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে ইমরান হাসান জানান, ‘রেস্তোরাঁ শিল্পটি মনিটরিং করে প্রায় ১২টি সংস্থা। বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলো দেশের সব রেস্টুরেন্ট সেবাকে একটি সংস্থার অধীনে এনে লাইসেন্স দিতে। লাইসেন্স সহজীকরণ বলতে, লাইসেন্স করতে হলে এমন কিছু ডকুমেন্ট চাওয়া হয় যা বাস্তবসম্মত নয় বা প্রদান করাও সম্ভব নয়। লাইসেন্স গ্রহণের প্রক্রিয়া জটিল করে অসাধু-উপায়ে ম্যানেজ করার জন্য বাধ্য করা হয়।’
আরও পড়ুন ভ্যাট-ট্যাক্স পুনর্বিবেচনার দাবি বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির
তিনি জানান, ‘ভবন মালিক, রেস্তোরাঁ মালিক, সরকারি সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করতে পারলেই এই সেক্টরটি সঠিকভাবে সুনির্দিষ্ট কম্পালায়েন্সের মাধ্যমে পরিচালনা করা সম্ভব। এই শিল্পটি চরম অবহেলিত সেক্টর বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন সময় এসেছে রোস্তোরাঁসমূহে হয়রানি বন্ধ করে বন্ধ রেস্তোরাঁগুলো এখনই খুলে দেওয়ার। কেননা রেস্তোরাঁ শিল্পগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আগে চলমান মাসের বেতন-ভাতাদি ও বোনাস দিতে হবে। রেস্তোরাঁ যদি বন্ধ থাকে তাহলে রেস্তোরাঁর মালিক কীভাবে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে বেতন ভাতাদি ও বোনাস প্রদান করবে?
তথ্যসূত্র: যুগান্তর