চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভূমিকম্পের ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে ৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আজ মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) চীনের সিসিটিভি জানিয়েছে, ৫ বছরের মধ্যে প্রদেশটিতে হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে গানসি নামে পরিচিত এলাকায় ৫৫ জন ও ইয়ান শহরে আরো ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর চীনের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর প্রভাবে সিচুয়ান প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিধস দেখা দেয়। এতে প্রাদেশিক রাজধানী চেংদুর পাশাপাশি পাশের প্রদেশেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বহু এলাকা। এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল লুদিংয়ের ৯ জনসহ এখনও ২৫ জন নিখোঁজ রয়েছে এবং তাদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত আছে।
সিচুয়ান প্রাদেশিক সরকারের উইচ্যাট একাউন্টের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেশ কয়েকটি শহরে নিহতদের স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে ভূমিকম্পের আঘাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকেপড়া অনেককেই উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে। মোতায়েন করা হয়েছে হেলিকপ্টার।
এরই মধ্যে ভূমিকম্পের পর সিচুয়ান প্রদেশের ১০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে আহতদের চিকিৎসায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বসানো হয়েছে অস্থায়ী ক্যাম্প। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে ওষুধ।
সপ্তাহজুড়ে প্রবল বৃষ্টির কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যহত হয়েছে। এদিকে চলতি সপ্তাহেও চীনের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় কিছু এলাকায় বৃষ্টির নতুন পূর্ভাস দেখা দেয়ায় ভূমিধসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।