অনলাইন ডেস্কঃ ‘স্বাধীনোত্তর বাংলাদেশে এ যাবৎ দেড় সহস্রাধিক ডাকটিকিট অবমুক্ত হয়েছে। এসব ডাকটিকিটের ছবিতে রয়েছে রাষ্ট্রের ইতিহাসের নানা গল্প। উত্তরাধুনিক বাংলাদেশে গণমানুষের কাছে কালের আবহে ডাকটিকিট, ডাকঘর কিংবা ডাকপিয়নসহ সংশ্লিষ্ট মাধ্যমগুলোর আবেদন কমলেও উন্নত রাষ্ট্রগুলোর দিকে তাঁকালে দেখা যাবে সেসব দেশের এ মাধ্যম প্রযুক্তির ব্যবহারে আরও আধুনিক হয়েছে। বাংলাদেশও উন্নত রাষ্ট্রগুলোর পদাঙ্ক অনুসরণ করে পথ হাঁটছে। এ কারনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতে বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। যা ভবিষ্যতে অতীতের মতো জনসাধরণের অতি জরুরি মাধ্যম হয়ে উঠবে।’ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম জিপিওতে ‘স্মারক ডাকটিকিট প্রদর্শনী ও বিপণন ২০২৪’ এর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা তাদের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
[caption id="attachment_24111" align="alignnone" width="600"] ছবি: স্মারক খাম উদ্বোধন করছেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ[/caption]
প্রদর্শনীতে বৃটিশ শাসনামল থেকে বর্তমান কালের ডাক বিভাগে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্র ও সরঞ্জামও প্রদর্শিত হয়েছে। এটি দেখতে সর্বস্তরের নাগরিকদের পাশাপাশি জড়ো হয়েছিলেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও।
আরও পড়ুন জিপিওতে যেন আজও প্রহরায় মুক্তিযুদ্ধের ৩ অখ্যাত শহিদ
প্রদর্শনী উদ্বোধন করেছেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পূর্বাঞ্চল সার্কেলের পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. ছালেহ আহাম্মদ। এসময় তিনি চিটাগাং কালেক্টর ক্লাবের একটি স্মারক খামও উদ্বোধন করেন।
[caption id="attachment_24112" align="alignnone" width="600"] ছবি: প্রদর্শনীতে আনুষ্ঠানিক বিক্রয়কেন্দ্র[/caption]
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পূর্বাঞ্চল সার্কেলের অতিরিক্ত পোস্ট মাস্টার জেনারেল মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীন, সহকারী পোস্ট মাস্টার জেনারেল (সঞ্চয়) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, সিনিয়র পোস্ট মাস্টার মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, চিটাগাং কালেক্টরস ক্লাবের সভাপতি প্রবাল দে।
[caption id="attachment_24113" align="alignnone" width="600"] ছবি: প্রদর্শনীর একাংশ[/caption]
প্রদর্শনীতে চট্টগ্রাম ডাক বিভাগের ফিলাটেলিক ও পোস্টাল মিউজিয়ামের সংগ্রহসমূহ এবং চিটাগাং কালেক্টরস ক্লাবের মূল্যবান সংগ্রহসমূহ প্রদর্শন করা হয়। এতে বিপননের জন্য ৫৪ হাজার ৭৪৭টি উদ্বোধনী খাম (এফডিসি) ও ২৫ হাজার ৭৭৭টি ডাটা কার্ড প্রদর্শিত হয়।
প্রসঙ্গত, প্রদর্শিত স্মারক ডাকটিকিট, পুস্তক সংগ্রহ করেছেন প্রবাল দে, চিনু সাহা, সৌমিক ঘোষ, সুজয় সেন গুপ্ত ও সত্যজিত ঘোষ।