জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনা টিকা দেয়ার কর্মসূচি আজ মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে। এ কর্মসূচি ১২ দিন চলবে। এরপর ১ দিন শুধু জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্কুলের বাইরে থাকা ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া হবে।
গতকাল সোমবার করোনা টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. শামসুল হকের স্বাক্ষর করা এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, শিশুদের বিশেষভাবে তৈরি ফাইজার টিকা দেওয়া হবে। সারা দেশের সোয়া দুই কোটি শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শিশুদের করোনা টিকার দুই ডোজ আট সপ্তাহের ব্যবধানে নিতে হয়। আজ থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৫-১১ বছরের স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। এ জন্য ইতিমধ্যেই সুরক্ষা ওয়েবপোর্টাল বা অ্যাপের মাধ্যমে এসব শিশুর রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করতে হবে। নিবন্ধনের পর কভিড-১৯ টিকা কার্ড দেখিয়ে কাছের স্কুল ভ্যাকসিনেশন সেন্টার ও পরবর্তী সময়ে কমিউনিটি পর্যায়ে (স্কুলবহির্ভূত শিশু) কাছের কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে হবে। কোনো কারণে শিশুর নিবন্ধন সম্ভব না হলেও কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেওয়া যাবে।
অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান/প্রতিনিধি, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বা পৌরসভা কর্র্তৃপক্ষ আলোচনা করে সমন্বয়ের মাধ্যমে টিকাদান কর্মসূচির সময়সীমা নির্ধারণ করবেন।