আজ ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

জ্বালানী তেলের আমদানিতে জটিলতা


অনলাইন ডেস্কঃ জ্বালানী তেলের আমদানিতে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিয়েছে। বিশ্ব বাজারে পণ্যটির দরে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে ২৫ শতাংশ বেড়েছিলো, তবে সম্প্রতি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ১ ডলারেরও বেশি কমেছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ও এলসি খোলার জটিলতায় জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তেলের মূল্য পরিশোধে দেরি হওয়ায় বকেয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশের চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি তেল আমদানি বিলম্বিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুন ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু হবে: প্রধানমন্ত্রী

বিদ্যুৎ বিভাগও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি কমাতে বিদ্যুতের পাইকারি ও খুচরা মূল্য বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছে। তারা বলেছে, পাইকারি মূল্য ইউনিটপ্রতি এক টাকা বাড়ানো হলে বছরে ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি কমে আসবে। বুধবার অনুষ্ঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ দুটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

আরও পড়ুন বাংলাদেশের জ্বালানী খাতে সৌদি আরবের সহযোগীতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

বিপিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে বিপিসি প্রান্তে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ডলার সরবরাহ সংকোচনের কারণে জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধে ১০-৫০ দিন পর্যন্ত দেরি হচ্ছে। ধাপে ধাপে মূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে। বকেয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি তেল আমদানি বিঘ্নিত হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরে নির্দিষ্ট সময়ে কার্গো এলেও মূল্য পরিশোধে বিলম্বের কারণে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান দুটি জাহাজে ‘ফিন্যানসিয়াল হোল্ড’ আরোপ করায় প্রায় ৬০ হাজার টন ডিজেল খালাস সম্ভব হচ্ছে না। পণ্য খালাসে বিলম্বের কারণে ৩২ হাজার ডলার ডেমারেজ দিতে হচ্ছে। ডলার সংকটের কারণে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এলএনজি আমদানির মূল্য বাবদ ২৪১ দশমিক ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অপরিশোধিত রয়েছে।

সংকট নিরসনে বিপিসি তার প্রতিবেদনের সুপারিশে জ্বালানি তেল আমদানি অব্যাহত রাখতে জরুরিভিত্তিতে বকেয়া পরিশোধে বাংলাদেশ ব্যাংক/অর্থ মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ চেয়েছে।

আমদানি কমে গেলে কিংবা বিঘ্নিত হলে দেশের সার্বিক অর্থনীতি এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। দাম বাড়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদনও কমে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর