চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে অপরাধ দমনে নজরদারি বাড়াতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে ৩০ টি আইপি ক্যামেরা। সৈকতে প্রতিদিন নানান শ্রেণী পেশার মানুষের সমাগম ঘটলেও সাপ্তাহিক ছুটি কিংবা সরকারি ছুটিতে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ঢল নামে । সৈকতে পরিবার-পরিজন বা প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ সময় পার করেন সাগরে ভ্রমণ পিপাসুরা।
পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সী-বিচ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে এসব আইপি ক্যামেরা। অজ্ঞাত অপরাধী শনাক্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ক্লোজ সার্কিট-আইপি ক্যামেরা অপরাধীদের গতিবিধির ওপর নজর রাখা এবং ক্যামেরার ফুটেজ ব্যবহার করেই অপরাধীদের খুঁজে বের করার লক্ষে ২৮ আগস্ট বিকেল ৪ টায় সমাজ সেবক পতেঙ্গা সী-বিচ কমিউনিটি পুলিশংয়ের সাধারণ সম্পাদক ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সনিয়ির সহ-সভাপতি মো. মুসা আলমের উদ্যোগে ৩০ টি আইপি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের আইসি ইসরাফিল মজুমদার ও ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দসহ আরো উপস্থিত ছিলেন বীচ কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্য মোঃ আনোয়ার, ইকবাল হোসেন, আবদুল্লা আল সাইমুন, আলমগীর মুস্তাফিজুর রহমান মিন্টু, মামুন, ফয়সাল, হাকিম, আলী আজম,মনছুর, রুবেল প্রমুখ।
আইপি ক্যামেরা স্থাপনকালে মো. মুসা আলম বলেন, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের প্রতিটি জেলায় দলীয় কর্মীরা পুলিশ প্রশাসনের সাথে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্পটে আইপি ক্যামেরা স্থাপনে এগিয়ে এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় কমিউনিটি পুলিশংয়ের পক্ষ থেকে সী-বিচে মানুষ যেন স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারে তাই আইপি ক্যামেরা স্থাপন। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পর্যটকেরা পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসেন। ইভটিজিং, চাঁদাবাজি, কিশোর গ্যাং, চুরি, ডাকাতি, চিনতাই, ধর্ষন, দুর্ঘটনা ,হত্যাসহ বড় ধরনের ঘটনা ঘটলে আইপি ক্যামেরা ফুটেজের মাধ্যমে আসল ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে। ক্যামেরায় ধারনকৃত চিত্র পুলিশ প্রশাসনকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা প্রদান করবে। আশা করি আইপি ক্যামেরা স্থাপনের কারণে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে অপরাধ প্রবনতা কমে আসবে। আগামীতে পর্যায়ক্রমে সমুদ্র সৈকতে পরিস্কার পরিছন্ন অভিযান থেকে শুরু করে সামাজিক কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে।