নিউজ ডেস্ক >>>অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্য উপদেষ্টাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে,রুরাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম জেলা শাখা।শুক্রবার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গণমাধ্যমে দেওয়া প্রতিক্রিয়া এবং পৃথক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান।একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সরকারের পদত্যাগের পর নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক, পুলিশ সদস্য, সংখ্যালঘুসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ড এবং রাষ্ট্রীয় স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার এক সুযোগ তৈরি হয়েছে। কোনো অশুভ শক্তি বা ষড়যন্ত্র যেন এই রক্তস্নাত বিজয় এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে।’ তিনি দেশের সৎ ও পরীক্ষিত ব্যক্তিবর্গ নিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সফলতা কামনা করেন।চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন,দেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি ও গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে- জাতি সরকারের কাছে এই প্রত্যাশা করে।’তাই বাংলাদেশের মতো দেশে গণমাধ্যমের আলোচনায় বস্তুনিষ্ঠতা আর নিরপেক্ষতার আলোচনা সত্যিকার অর্থে এক কঠিন কাজ। জীবনভর রাজনৈতিকরা, আমলারা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলে এসেছেন, গণমাধ্যম ও সাংবাদিককে হতে হবে বস্তুনিষ্ঠ, পক্ষপাতহীন, ভারসাম্যপূর্ণ এবং তাদের সব কাজে থাকবে ন্যায্যতা। কিন্তু এসব পরিভাষার সাথে নিরপেক্ষতার সম্পর্ক সৃষ্টি করাটা বেশ কঠিন।কিংবদন্তি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি বিশ্বাস রেখে তিনি আরও বলেন-এই সরকারকে দুটি কাজে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে। এর একটি আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে দেশের শান্তি ও স্থিতি ফিরিয়ে আনা এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের বিচার করা।সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশে উন্মুক্ত স্বাধীনতা প্রদান করা,এবং নিহত সকল সাংবাদিকদের বিচার কাজ দ্রুত নিষ্পত্তি করা।পরিশেষে অভ্যন্তরীণ সরকারের সকলের সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করি।