আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা ইসলামিক ফ্রন্ট। আজ মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে নির্বাচন ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানায় সংগঠনটির চেয়ারম্যান ছৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনের মধ্য দিয়েই জনমতের প্রতিফলন ঘটে। তাই এ মূহুর্তে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে, এমনটিই প্রত্যাশিত সকল অংশীজনের নিকট। নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেশের জনগণ আর অতীতের পুনরাবৃত্তি চায় না। যেজন্য সর্বাগ্রে সরকারকে কার্যকর ভূমিকায় এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সকল রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন সংশিষ্ট সকলেরই ইতিবাচক মনোবৃত্তি নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত।
এ মূহুর্তে ব্লেইমগেইম রাজনীতি সহিংসতা বাড়াবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ৩০০ আসনে প্রতিদ্ধন্ধিতা করবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন— সংবিধান এর ১১৮ অনুচ্ছেদ
অনুযায়ী একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, স্বয়ংসম্পূর্ণ, শক্তিশালী ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। কেননা সরকারের প্রভাবমুক্ত কমিশনই সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্যারান্টি নিশ্চিত করতে পারে।
অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেন, মহামারি করোনা ও ইউক্রেন— রাশিয়ার চলমান যুদ্ধের কারণে তাবৎ বিশ্ব এখন অর্থনৈতিক মন্দায় কবলিত। যার অশুভ শিকার থেকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশও বাদ পড়েনি। এমনটি হলে শ্লত গতি থাকবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের মুদ্রা মানে অস্থিরতা বিরাজ করবে। বিনিয়োগে ভাটা পড়বে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে অভিশপ্ত বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে। নাগালে থাকবে না ক্রয়ক্ষমতা। হ্রাস পাবে বিশ্ববানিজ্য। উপরন্তু জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার কাঙি্ধসঢ়;ক্ষত লক্ষ্য স্পর্শ করতে পারবে না। এমনিতর পরিস্থিতিতে যদি ক্ষমতাকেন্দি্রকতার পদতলে পিষ্ট হয় দেশের রাজনীতি, তাহলে তা হবে সকলের জন্য আত্নঘাতি। তাই এ মূহুর্তে অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচনই দেশের জনগণের নিকট অধিকতর প্রত্যাশিত। সুতরাং নির্বাচনপূর্ব প্রেক্ষাপটে কোনো ধরনের অবাঞ্ছিত সহিংসতা জনগণের নিকট কাম্য নয়। আর যদি এমনটি হয় তাহলে আবারও লক্ষ্যভ্রষ্ট হবে রাজনীতি। রূদ্ধ হয়ে যাবে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশমান ধারা। মুখ থুবড়ে পড়বে দেশের জাতীয় অর্থনীতি। ভুলুন্ঠিত হবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ। ম্লান হয়ে যাবে এযাবতকালের সর্বপ্রকার জাতীয় অর্জন।
নগর সভাপতি এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর এর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর মহাসচিব শাইখুল হাদিস অধ্যক্ষ জয়নুল আবেদীন জুবাইর, বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এস এম ফরিদ উদ্দিন, কাজী মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন। এ এম মঈনুদ্দিন চৌধুরী হালিম সঞ্চলনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন তৈয়বী, অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, মমতাজ উদ্দিন হোসাইনি, খান এ সবুর, আবদুর রহমান
মান্না, অধ্যক্ষ জাকের আহমদ সিদ্দিকী, লোকমান মেম্বার, মাষ্টার আনোয়ারাুল আজিম, মাওলানা বশির আহমদ, আলহাজ্ব আলম রাজু, নুর মুহাম্মদ আলকাদেরী, স ম শহীদুল হক ফারুকী, আলহাজ্ব মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, অধ্যাপক
মাওলানা মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জিহাদি, স ম শওকত আজীজ, মোজাম্মেল হোসেন, আহমদ রেজা, জামাল উদ্দিন, ফরিদ উদ্দিন, কাউসারুল ইসলাম সোহেল, তাওহিদ মুরাদ সুমন প্রমুখ।