বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পেয়েছে সাতকানিয়ার কৃতি সন্তান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক ড. শাহাদাত হোসেনের নাম। সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে মেধাবী ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। সেই তালিকায় রয়েছেন চবি’র সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন কম্পিউটার বিজ্ঞানী, গবেষক প্রফেসর ড. মো. শাহাদাত হোসেন। এর আগে তিনি এলপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স—২০২১ এর প্রকাশিত বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর তাঁর গবেষণা এবং বক্তব্যের জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী বেশ সমাদৃত। এডি’র ইনডেক্সে স্থান পেয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫৬ জন শিক্ষক। সেই তালিকার শীর্ষে ছিলো ড. শাহাদাত হোসেনের নাম।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জার্নালে ড. মো. শাহাদাত হোসেনের প্রকাশিত ১৭০ টিরও অধিক গবেষণা প্রবন্ধ রয়েছে। কাজের স্বীকৃতি প্রাপ্তিতে তিনি আনন্দিত ও অভিভূত। এ প্রসঙ্গে আলাপকালে ড. মো. শাহাদাত হোসেন চাটগাঁর সংবাদকে বলেন, এই কৃতিত্বের পুরোটাই আমার বিশ^বিদ্যালয়ের। বিশ^বিদ্যালয়ে আমার যারা শুভানুধ্যায়ী রয়েছেন আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। যারা আমাকে সহযোগীতা করেছেন তাদের সকলকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ড. মোঃ শাহাদাত হোসেন সাতকানিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমানের পুত্র। তার এই অর্জনে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার সামাজিক সংগঠন ও বিশিষ্ট জনেরা অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এডি’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, বিশ্বমানের গবেষকের তালিকায় মোট ৭ লাখ ৯ হাজার ৬৬৩ জন এবং বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার ৭৯৮ জন গবেষক রয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রয়েছেন ৫৬ জন। র্যাঙ্কিংয়ে ১২টি ক্যাটাগরিতে বিশ্বের ২০৬টি দেশের গবেষকদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গবেষকদের গুগল স্কলারের রিসার্চ, প্রোফাইলের বিগত ৫ বছরের এইচ—ইনডেক্স, আই ১০ ইনডেক্স স্কোর এবং সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে তালিকাটি প্রকাশ করে এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স।
ড. মো. শাহাদাত এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার দীর্ঘ ২৭ বছরের শিক্ষকতা জীবন ও গবেষণার স্বীকৃতি পেয়েছি। একজন শিক্ষকের স্বীকৃতি ছাড়া আর কিছু পাওয়ার নাই। আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরিত করতে চাই। এ জন্য আমাদের সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের আরও বেশি গবেষণামুখী হতে হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ থাকবে, তারা যেন গবেষণা খাতকে আরও বেশি প্রসারিত করে।’