সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি
সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ এনে কারখানায় দায়িত্বরত ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার (৬ মার্চ) দিনগত রাতে সীতাকুণ্ড থানায় মামলাটি করেন নিহত সাতজনের একজনের স্ত্রী। তবে মামলার আসামিদের নাম পাওয়া যায়নি। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ।
তিনি বলেন, সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে কারখানায় দায়িত্বরত ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও একাধিক জনকে আসামি করে নিহত একজনের স্ত্রী মামলা করেছেন। মামলা থানায় রেকর্ড করা হয়েছে। মামলা নম্বর ৬।
এদিকে গত শনিবার (৪ মার্চ) বিকেলের দিকে সীতাকুণ্ডের কদমরসুলপুর এলাকায় সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওইদিন ৬ জন নিহত হয়৷ এখন পর্যন্ত সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছে। গত রোববার (৫ মার্চ ) বিকেলে সাড়ে টার দিকে বিস্ফোরণে ঘটনায় নিহত ৬ জনের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিস্ফোরণে নিহত ৬ জন হলেন- সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী জাহানাবাদ এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে শামছুল আলম (৫৬), ভাটিয়ারী বিএমএ গেট এলাকার আবুল বাসার মিয়ার ছেলে মো. ফরিদ (৩৬), নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা উপজেলার ছোট মনগড়া এলাকার চিকি রোঙ্গী লখরেটের ছেলে রতন লকরেট (৪৫), নোয়াখালী জেলার মাইজদী থানার অলিপুর এলাকার মৃত মকবুল আহমেদের ছেলে আবদুল কাদের (৫৮), লক্ষ্মীপুর জেলার কমল নগর থানার চর লরেন্স এলাকার মহিদুল হকের ছেলে মো. সালাহ উদ্দিন (৩০) ও ময়মনসিংহ জেলার সেলিম রিচিল। নিহত ৬ জনের মধ্যে শামছুল আলম ও সালাহউদ্দিন কারখানার কর্মী নন। ঘটনার সময় তারা ছিলেন কারখানা থেকে আধা কিলোমিটার দূরে। গত ৫ মার্চ রাত ৯ টা ৩৫ মিনিটে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন প্রবেশ লাল শর্মা (৫৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়।
নিহত প্রবেশ লাল শর্মা ভাটিয়ারী ৬ নম্বর ওয়ার্ড মতিলাল শর্মা বাড়ির মৃত মতি লাল শর্মার ছেলে।
সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হন অন্তত ২৫ জন। এর মধ্যে ২০ জন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।