সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল:
নিজের জীবন উৎসর্গ করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী, নির্ভীক বীর সেনানায়ক মরহুম ক্যাপ্টেন (অব) এম এ করিম বীর বিক্রমকে সেনাবাহিনী থেকে দুইদফাসহ তিন দফা গার্ড অব অনার প্রদান এবং প্রশাসন থেকে কফিনে জাতীয় পতাকা মুড়িয়ে, পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বিবিধ মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড বদুরপাড়া বদুমল্লো চৌধুরী বাড়ী নিবাসী মরহুম আমজু মিয়ার পুত্র, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর সেনানী, ক্যাপ্টেন (অব) এম এ করিম বীর বিক্রম চট্টগ্রাম পার্ক ভিউ হাসপাতালে ১২ অক্টোবর শনিবার দিবাপূর্ব রাতে মৃত্যুবরণ করেন। ঐ দিনই (শনিবার) বাদে আসর চন্দনাইশের বদুরপাড়া বদোমল্লো শাহী জামে মসজিদ মাঠ মরহুমের নামাজে যানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বৎসর। তিনি ৫পুত্র ও ২ কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। তাঁর সহধর্মিণী আগেই মৃত্যু বরণ করেছিলেন।
তাঁর (ক্যাপ্টেন আবদুল করিম বীর বিক্রমের) মৃত্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, এলডিপির প্রেসিডেন্ট ও সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব ডক্টর কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম, সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক এমপি আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার আফসার উদ্দিন আহমেদ, সাবেক এমপি আলহাজ্ব বেগম মমতাজ অলি, এলডিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মো. ওমর ফারুক (সানি), চন্দনাইশ পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আইয়ুব কুতুবী, চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কাসেম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল জব্বার চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. জসিম উদ্দিন আহমেদ, সেনাবাহিনীর সিও কর্নেল ফরহাদ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মাহমুদা বেগম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমা, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইমরান আল হোসাইন, ওসি (তদন্ত) যুযুৎসু যশ চাকমা, চন্দনাইশ সমিতি- ঢাকার সভাপতি আলহাজ্ব মো. আবু তাহের রাজু সিআইপি, সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবদুল জব্বার, মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার জাফর আলী হিরু, সাংবাদিক সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল প্রমুখ গভীর শোক প্রকাশ করেন। তাঁরা মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের ও আত্মীয়দের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
প্রচারবিমুখ এ মহান ব্যক্তি (এম এ করিম) চেষ্টা করলে সম্পদের পাহাড় গড়তে পারতেন, কিন্তু তা না করে নির্মোহ জীবন যাপন করতেন। প্রকৃত অর্থে দেশকে এবং দেশের মানুষকে ভালবাসতেন। সন্তানদের দেশপ্রেমী ও মানবতাবাদী হিসেবে গড়ে তোলেন।