আজ ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

নিউইয়র্কের মেলায় বইপ্রেমীদের ভিড়, ভবিষ্যতে সপ্তাহব্যাপী আয়োজনের প্রত্যাশা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চার দিনব্যাপী নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা ১৭ জুলাই শেষ হয়েছে। মেলার শেষ দিনে জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে ছিল যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বইপ্রেমীদের ভিড়। পুরো দিনের কর্মসূচিতে শিশু-কিশোরদের প্রাধান্য ছিল। মেলার ৩২তম এ আসরে বাংলাদেশ থেকে ২৫টি প্রকাশনা সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। অতীতের তুলনায় এবার মেলায় বেশি স্টল ছিল। বিক্রিও হয়েছে প্রায় এক লাখ ডলারের বই।

মেলার শেষ দিনটি রাখা হয়েছিল শিশু-কিশোরদের জন্য। তাদের আয়োজনে ও অংশগ্রহণে ছিল নাচ-গান, কবিতা আবৃত্তি ও ছবি আঁকা। অংশগ্রহণকারী কিশোর ড্যানিয়েল সামি বলেন, ‘এখানে এসে বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পেরে খুব ভালো লাগছে। অনেক নতুন বন্ধু পেয়েছি। এখানে একটি ভিন্ন জগৎ পেয়েছি।’

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও কলকাতা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও লন্ডন থেকে লেখক-পাঠকেরা মেলায় যোগ দিয়েছেন। এ ধরনের একটা আয়োজন করতে পেরে খুশি আয়োজকেরা। ৩২তম নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার আহ্বায়ক আবদুন নূর বলেন, ‘চার দিন সবাই মিলে একটি পরিবারের মতো ছিলাম । যাঁরা মেলায় এসেছেন, বেশির ভাগই পরিবার নিয়ে এসেছিলেন। এই মিলনমেলা ভেঙে যাওয়ায় খারাপ লাগছে। একই সঙ্গে সুন্দর ও সুচারুরূপে মেলাটি শেষ হওয়ায় ভালো লাগছে।

এবার মুক্তধারা-জিএফবি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন কবি আসাদ চৌধুরী। মেলার তৃতীয় দিন ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় কবি আসাদ চৌধুরীর পক্ষে ক্রেস্ট ও তিন হাজার ডলার প্রাইজমানি গ্রহণ করেন তাঁর স্ত্রী সাহানা চৌধুরী ও কন্যা নুসরাত জাহান চৌধুরী। পুরস্কার তুলে দেন জিএফবি গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক ভূঁইয়া। বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা সংস্থা থেকে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা শ্রেষ্ঠ প্রকাশনা’ পুরস্কার পেয়েছে নালন্দা ও কথাপ্রকাশ। এটি তুলে দেন চিকিৎসক জিয়াউদ্দিন আহমেদ।

মেলা শেষে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত সাহা বলেন, ‘চার দিনের বইমেলায় প্রায় এক লাখ ডলারের বই বিক্রি হয়েছে। এরই মধ্যে অনেক দর্শনার্থী আমাদের মেলার সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ভবিষ্যতে সপ্তাহব্যাপী বইমেলা করা যায় কি না, সে বিষয়ে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন কমিটি চিন্তাভাবনা করছে।’

মেলা প্রাঙ্গণে দর্শনার্থীরা নিজেদের মতো করে গান গেয়েছেন, প্রতিবাদ অনুষ্ঠান করেছেন। দেশের গাইবান্ধা স্টেডিয়াম-সংলগ্ন রাষ্ট্রস্বীকৃত জেলার প্রধান বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবিতে ‘নিউইয়র্কপ্রবাসী গাইবান্ধাবাসী’র আয়োজনে বইমেলা প্রাঙ্গণে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। বই বিক্রির পাশাপাশি মেলার সমরেশ মজুমদার মঞ্চে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক, কবিতা আবৃত্তি, সেমিনার ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।

তথ্যসূত্র: প্রথম আলো


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর