যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সম্মেলনের যোগ দেওয়া আগে আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে কম্বোডিয়ায় পৌঁছেছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (১২ নভেম্বর) কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে পৌঁছান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন শেষে পাঁচদিনের এশিয়া সফরে বের হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার মিশরে কপ-২৭ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পরপরই আসিয়ান সম্মেলনের উদ্দেশ্যে উড়াল দেন জো বাইডেন। খবর: ব্লুমবার্গ
২০১৭ সালের পর এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট আসিয়ান সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। এ সম্মেলনে জো বাইডেন মিত্র দেশ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের শীর্ষ নেতার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। অনেকের মতে, চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক ও প্রযুক্তিগত উত্থান মোকাবিলায় এশিয়া প্যাসিফিক দেশগুলোর সমর্থন পেতেই এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
জানা গেছে, পাঁচদিনের এ সফরে সোমবার (১৪ নভেম্বর) জি-২০ সম্মেলনে জো বাইডেন প্রথমবারের মতো চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সশরীরে সাক্ষাৎ করবেন। এর আগে রবিবার আসিয়ান সম্মেলনে তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে একই গালিচায় হাঁটবেন।
লি কেকিয়াং এর আগে বলেছিলেন, করোনা মহামারী ও ভিন্ন ভিন্ন ভৌগলিক অবস্থান থাকা সত্ত্বেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সম্পর্ক বেশ গভীর হয়েছে। এর ফলেই বেইজিংয়ের অর্থনীতি ক্রমবর্ধমান উন্নতি অর্জন করেছে। আশা করি, এ সম্পর্ক ভবিষ্যতেও ঠিক থাকবে। বাণিজ্য যুদ্ধ ও তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বেশ কয়েক বছর ধরেই দ্বন্দ্ব চলে আসছে। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) হোয়াইট হাউজের সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, তাইওয়ান ইস্যুতে চীনকে ‘কোনো ধরনের মৌলিক ছাড়’ দিতে রাজি নয় যুক্তরাষ্ট্র। তিনি আরও বলেন, সোমবার নিশ্চিতভাবেই শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য ও তাইওয়ান নিয়ে আলোচনা হবে। তবে, অবশ্যই আমরা প্রতিযোগিতা চাই, সংঘাত নয়।