মোঃ কামরুল ইসলাম মোস্তফা, চন্দনাইশঃ
চন্দনাইশ উপজেলার ২৬টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৩ হাজার ২৪৫ জন পরীক্ষার্থী এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে মোট ২ হাজার ৭৭৪ জন পরীক্ষার্থী। পাসের হার ৮৫.৪৯ ভাগ। পাস করা ২ হাজার ৭৭৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৯ জন। এর মধ্যে উপজেলায় সবচেয়ে ভাল ফল করেছে বেগম গুল চেমন আরা একাডেমী স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
প্রতিষ্ঠানটির মোট ১৮২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৮০ জন পরীক্ষার্থী পাস করেছে, পাসের হার শতকরা ৯৮.৯০ ভাগ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৯জন পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক দিয়ে উপজেলায় দ্বিতীয় হয়েছে গাছবাড়ীয়া নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটির ২৮ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। তবে পাসের দিক থেকে শতকরা হার ৮৬.১৯ ভাগ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি উপজেলায় চৌদ্দতম স্থানে রয়েছে। বিদ্যালয়টি থেকে ১৮১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৫৬ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে উপজেলায় তৃতীয় স্থান লাভ করেছে দোহাজারী আঃ রহমান উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির ০৯ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। তবে পাসের দিক থেকে শতকরা হার ৭৮.০৪ ভাগ নিয়ে উপজেলার ২৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এটির অবস্থান ২১ তম। প্রতিষ্ঠানটির ২৫৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৯৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে।
উপজেলার বাকি ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দোহাজারী জামিজুরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ জন, কাঞ্চনাবাদ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ জন, কাসেম মাহবুব উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ জন, বরকল এসজেড উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ জন, হাশিমপুর এম.এ.কে.ইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ জন, বরমা ত্রাহি মেনকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ জন, পূর্ব সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ জন, খানদিঘী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ জন, ফাতেমা জিন্নাহ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ জন, সাতবাড়িয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ জন, হাছনদন্ডী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ জন, চামুদরিয়া ইউনাইটেড ইনস্টিটিউট উচ্চ বিদ্যালয়, ধোপাছড়ি শীলঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়, বৈলতলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, শুচিয়া রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ জন করে পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
Leave a Reply