অনলাইন ডেস্ক
চন্দনাইশ গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজে ছাত্রলীগ নেতার হাতে শিক্ষক প্রহৃত হয়ে আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে গত ১৭ মে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. সাফাতুন নুর চৌধুরীকে বহিষ্কার করেন।
জানা যায়, গত ১৬ মে সকালে কলেজ চলাকালীন সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষককে ঘুষি মেরে আহত করেছে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাফাতুন নুর চৌধুরী। এ ব্যাপারে আহত শিক্ষক অধ্যাপক ড. একেএম আতিকুর রহমান বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর রনজিত কুমার দত্ত বিষয়টি স্বীকার করে আইনী প্রক্রিয়ার জন্য থানায় অভিযোগ করেছেন বলে জানান। চন্দনাইশ গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. আবদুল খালেক জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে কলেজের সেমিনার কক্ষে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র বিতরণ কার্যক্রম চলছিল। এ সময় কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাফাতুন নুর চৌধুরী এসে শ্রেণি কক্ষের বৈদ্যুতিক পাখা নষ্ট হওয়ার কথা বলে ঠিক করাতে বলেন। এ সময় অধ্যাপক ড. একেএম আতিকুর রহমান কলেজ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানালে সাফাতুন নুর চৌধুরী ক্ষিপ্ত হয়ে জানালার পর্দার পাইপ নিয়ে পাখা ভাঙ্গতে গেলে পাইপটি গিয়ে পড়ে অফিস সহায়ক প্রযুক্তা পালের মাথায় লেগে সে আহত হয়। আহত প্রযুক্তা পালকে চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিছুক্ষণ পর সাফাতুন নুর অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে অধ্যাপক ড. একেএম আতিকুর রহমানের সাথে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা সাফাতুন নুর ক্ষিপ্ত হয়ে অধ্যাপক আতিকুর রহমানের মুখে ঘুষি মারে। এ ব্যাপারে শিক্ষক আতিকুর রহমান বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ছাত্রলীগ নেতা সাফাতুন নূর চৌধুরী বলেছেন, 'অনার্স ১ম বর্ষের ভর্তি ফি পটিয়াসহ অন্যান্য কলেজগুলো থেকে বেশি নেয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অধ্যক্ষের কক্ষে যাই এবং সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভর্তি ফি নেয়ার অনুরোধ জানাই। শিক্ষককে প্রহার করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ফি নেয়ার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ঘটনাটি ভিন্নভাবে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন বলে জানান। এদিকে গত ১৭ মে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সংগঠনের শৃংঙ্খলা, মর্যাদা পরিপন্থি, অপরাধমুলক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে মো. মাফাতুন নুর চৌধুরীকে বহিষ্কার করা হয়। কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক রনজিত কুমার দত্ত বলেছেন, 'ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে সভার মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।