অনলাইন ডেস্কঃ প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (পিইউডিএস)-এর উদ্যোগে একাদশ পিইউডিএস জাতীয় বিতর্ক উৎসব প্রতিযোগিতায় আন্ত:স্কুল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (বাওয়া)। এবারের প্রতিযোগিতায় আন্ত:স্কুল বিভাগে ৩২টি স্কুল অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে নগরীর মুসলিম হাই স্কুল। শনিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে দিনব্যাপী প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে বিতর্ক উৎসবের চূড়ান্ত পর্ব এবং পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
‘খেলার মাঠেই জাগরিত হোক জীবনবোধ, নিঃশ্বাসের ভেতর আসুক উৎসবের বিশ্বাস’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারের উৎসব মুখর এ প্রতিযোগীতায় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়, আন্তঃকলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ২৪টি কলেজ অংশগ্রহণ করেছে।
আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চবি এবং রানার আপ হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। আন্তঃকলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ চ্যাম্পিয়ন এবং প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল রানার আপ হয়।
পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা।
পিইউডিএস-এর চিফ মডারেটর জুলিয়া পারভিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, বিতর্কের সূচনা হয় প্রাচীন গ্রীসে। সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টটল যুক্তির মাধ্যমে সত্যের অনুসন্ধান করেছিলেন। প্লেটোর গ্রন্থে দেখা যায়, তর্কের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন বিষয় প্রতিষ্ঠা করছেন। এরিস্টটলের ‘পলিটিক্স’গ্রন্থেও রয়েছে তর্ক ও যুক্তি।
আরও পড়ুন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে ইউটিএস বাংলাদেশের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
এই সমাজবিজ্ঞানী বলেন, ‘আজকের বিশ্ব বিজ্ঞানের বিশ্ব। কোপার্নিকাস ও গ্যালিলিওর সময় থেকে এই বৈজ্ঞানিক বিশ্বের সূচনা ঘটেছে। তাঁরা তাঁদের সময়ে অনেক বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার করেন, যেগুলোর ভিত্তি ছিল যুক্তি।
ড. অনুপম সেন উল্লেখ করেন, সত্যে উপনীত হওয়ার জন্য নানা পন্থ আছে। প্রত্যেক পন্থে যুক্তিকে অবলম্বন করতে হবে। এনলাইটেনমেন্ট দার্শনিকরা যুক্তির মাধ্যমে ঘুণেধরা সমাজকে ভেঙে নতুন সমাজ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এই নতুন সমাজ সারা ইউরোপজুড়ে প্রতিষ্ঠার ফলেই অষ্টাদশ শতক থেকে ইউরোপ সারা বিশ্ব তাদের অধীনে নিয়ে আসে। আজও তারা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করছে বলা চলে। অবশ্য এখন দক্ষিণের বিশ্ব যুক্তিকে ভর করে, বিজ্ঞানকে ভর করে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে, পাশ্চাত্যের প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে উঠছে।’
তিনি বলেন, ব্যক্তিকে এগিয়ে যেতে হলেও যুক্তির প্রয়োজন। আমরা কোন্টা সত্য মনের মধ্যে তা বিচার করি যুক্তির মাধ্যমে। কোন্টি ভালো, কোন্টি খারাপ তাও বিচার করি যুক্তির মাধ্যমে। মনের তর্কই আত্মশুদ্ধির পথ।
মডারেটর সাইফুদ্দিন মুন্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিইউডিএস-এর সভাপতি সাকিব হোসাইন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সহকারী ডিন প্রফেসর এম. মঈনুল হক, মডারেটর সঞ্জয় বিশ্বাস ও নিলুফার সুলতানা। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন মডারেটর হিল্লোল সাহা, মিনহাজ হোসেন, ফারিয়া হোসেন বর্ষা, পিইউডিএস-এর সাবেক সভাপতি সাবের শাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাইহান শাকিল, সাবের সভাপতি কাজী নুরুল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আত্তিহারুল কবির তিহার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী রহমান নিকাশ, সহ-সভাপতি আমির আবদুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক তন্ময় বড়ুয়া।
তথ্যসূত্র: বাংলানিউজ২৪
Leave a Reply